Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুবির সেশনজট কমাতে অভিনব পদ্ধতি : প্রতিবাদ

কুবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) অধ্যায়নরত শিক্ষাথীরা অভিনব পদ্ধতিতে সেশনজট এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষাথীরা প্রশাসনিক ভবনসহ একাডেমিক ভবনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সেশনজট সমস্যার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের লেখা সমৃদ্ধ পোস্টার লাগানো হয়েছে। তবে এ পোস্টার কে বা কারা লাগিয়েছে সে সম্পর্কে জানেনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন ঘুরে দেখা যায়, ভবনগুলোর সামনের দিকের দেয়ালে ‘মাননীয় ভিসি স্যার, সেশনজটের দায়ভার কার?’, ‘২৫ মাসেও তৃতীয় সেমিস্টারে বসতে পারিনি!’, ‘মাননীয় ভিসি স্যার আপনার সন্তানরা সেশনজট থেকে মুক্তি চায়।’ ‘সেশনজট মুক্ত কুবি চাই।’ প্রভৃতি স্লোগান সমৃদ্ধ পোস্টার লাগানো রয়েছে। তবে পোস্টারের কার্তেসীর স্থলে ‘গর্জে উঠো কুবিয়ান’ লেখা রয়েছে প্রতিটি পোস্টারে।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকেই বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ একাডেমিক ভবনগুলোতে তারা এ পোস্টারগুলো দেখছে এবং যেগুলো লিখা হয়েছে সেগুলো যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি বিভাগেই সেশনজট রয়েছে। আর এ সমস্যাগুলো শিক্ষকদের কারনেই সৃষ্টি হচ্ছে। কোন কোন বিভাগে সেশনজটের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির সিএসই, আইসিটি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ফার্মেসী, ইংরেজি, অর্থনীতি, লোক প্রশাসন, নৃবিজ্ঞান, প্রত্মতত্ত্ব, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, আইন বিভাগসহ দুই একটি বিভাগের কয়েকটি ব্যাচ ব্যাতিত প্রায় সব ব্যাচই সেশনজটের কবলে রয়েছে। বেশ কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বার বার শিক্ষকদের কাছে এ সমস্যা সমাধানের জন্য বললেও শিক্ষকদের কাছ থেকে তেমন সহযোগিতা পায়নি বলে জানা যায়।
কে বা কারা এ পোস্টারগুলো লাগিয়েছে এবং এর পেছনে যৌক্তিকতা কি এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন,“কে বা কারা এগুলো লাগিয়েছে সে বিষয়ে আমরা জানি না। কিন্তু যারাই করেছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্ষুন্ন করেছে। তারা বিভাগীয় প্রধানগন বা উপাচার্যকে অবহিত করতে পারতো। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন,“আমরা সেশনজট নিরসনের ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছি। খুব দ্রুতই সবার সাথে বসে এর সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ