পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতারের পর কর্মসূচিতে কতজন এসেছে কারা কারা আস্তে আস্তে চলে গেছেন তা জানা আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি নেতাদের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আজকে অনেকে অনেক কথা বলছেন। আমরা দেখেছি, আমাদের নেত্রীর গ্রেপ্তারের পরে যখন কর্মস‚চি দিয়েছি কতজন এসেছেন, কতজন আসেননি। আমরা তো দেখেছি কারা কারা সেই কর্মসূচির মধ্য থেকে আস্তে আস্তে চলে গেছেন। এই নির্বাচনের মধ্যে কারা বেরিয়ে এসছেন, প্রতিবাদ করেছেন, কারা প্রতিবাদ করেননি। শুধু কথা বলে, একটা বন্ধ আবদ্ধ ঘরের মধ্যে নিরাপদ জায়গায় এসব কথা বলে আমরা সেই শত্রæকে (আওয়ামী লীগ) পরাজিত করতে পারবো না।
রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের মিলনায়তনে কেএম ওবায়দুর রহমান স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বিএনপির সাবেক মহাসচিব কেএম ওবায়দুর রহমানের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, কথা সবাই বলতে পারেন কিন্তু কাজ করতে হবে। কতজন আসছেন না আসছেন, কে কতটুকু বিপ্লবের পথে যাচ্ছেন, বিদ্রোহের পথে যাচ্ছেন সেই বিষয়গুলো অবশ্যই আপনাদের মানতে হবে। এ সময়ে নেতাকর্মীদের আসন থেকে দুই-একজন কর্মী কথা বলতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ইয়েস কে কথা বলছেন আসেন। মঞ্চে আসেন। ছাত্রদলের ঢাকা কলেজের একজন কর্মী মহাসচিবের কাছে এসে বলেন, ঐক্যফ্রন্টের যে সর্বশেষ কর্মসূচি দেয়া হয়েছে সেখানে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) মুক্তি চাওয়া হয়নি কেনো? উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রশ্নই উঠে না। কে বলেছে একথা? প্রথমে কর্মসূচি গেছে, মুক্তির কথা ছিলো। এখনো কর্মসূচি চলছে। এসব মিথ্যা কথা বলবে না। কখনোই জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না। উচিত নয়।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, এই ভয়ংকর ফ্যাসিবাদকে সরাতে হবে ক্ষমতা থেকে। সেই সরাতে গিয়ে সেই ঐক্য ভেঙে গেলে আর কোনো দিন তাদের সরাতে পারবেন না। আজকে আমাদেরকে ছোট-খাটো সমস্যাকে বড় করে না দেখে অটুট ঐক্য গড়ে তুলে হবে। একই সঙ্গে জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমাদের এগুতে হবে। আসুন এই দখলদার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করি।
জাতীয় ঐক্য সুপরিকল্পিতভাবে ভাঙন সৃষ্টির অপচেষ্টা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঐক্যের ফলে আজকে জনগণ যেভাবে নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে বর্জন করেছে স্বৈরাচারি আওয়ামী লীগ সরকারকে, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে। সেই ঐক্যে ভাঙন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, দেশনেত্রীর নির্দেশে আমরা এই ঐক্যকে আরো সুদৃঢ় করবো এবং সমগ্র বাংলাদেশের জনগণকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগেকে ঐক্যবদ্ধ করে পরাজিত করবো।
খালেদা জিয়ার নির্দেশে জাতীয় ঐক্য গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী পরিস্কার করে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন যে, দলমত নির্বিশেষে সকলকে গণতন্ত্রের পক্ষে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে এবং এই স্বৈরাচারকে পরাজিত করবার জন্য সেই ঐক্যকে নিয়েই লড়াই করতে হবে। নির্বাচনে যাওয়ার পূর্বেও আমরা নেত্রীর সঙ্গে কারাগারে যোগাযোগ করেছি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, নির্বাচনে যেতে হবে এবং ঐক্য গড়ে তুলতে হবে জনগণের মধ্যে। নির্বাচনের পরেও তিনি (খালেদা জিয়া) এ নির্দেশই দিয়েছে যে, এই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।