Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, ইলিশ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ একক মৎস্য প্রজাতি যা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যের ভিত্তিতে দেশে জাটকা রক্ষার্থে ইতোমধ্যে ৬টি অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জাটকা সংরক্ষণ এবং ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে অভয়াশ্রমের প্রভাব সম্পর্কে কর্মশালায় গবেষণা ভিত্তিক ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১ টায় চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমীতে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই ) এর উদ্যোগে ‘ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে অভয়াশ্রমের প্রভাব, মজুদ নিরুপণ ও জাটকা সংরক্ষণে গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের এবারের শ্লোগান ‘কোনো জাল ফেলবো না, জাটকা ইলিশ ধরবো না’।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুমে অর্থাৎ আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার পূর্বের ৪দিন, পূর্ণিমার দিন এবং পূর্ণিমার পরের ১৭ দিন অর্থাৎ মোট ২২ দিনের জন্য সারা দেশের নদ-নদীতে ইলিশ আহরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর ফলে বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
কর্মশালার প্রধান বক্তার বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু এমপি বলেন, বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুস্বাদু মাছ ইলিশের টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধি নির্ভর করে এর প্রজনন সফলতা, জাটকা রক্ষা এবং মাছ আহরণের পরিমাণের উপর। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির মূলে রয়েছে জাটকা রক্ষা। ইনস্টিটিউটের গবেষণালব্ধ ফলাফলের উপর ভিত্তি করে সরকার বিভিন্ন নদ-নদীর জাটকা প্রধান অঞ্চলে ৬টি ইলিশ অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে। একেকটি অভয়াশ্রম ইলিশ উৎপাদনের সুতিকাগার হিসেবে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুমে আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার ৪ দিন আগে, পূর্ণিমার দিন এবং পূর্ণিমার ১৭ দিন পরে অর্থাৎ মোট ২২ দিন সারা দেশের সাগর, নদ-নদীতে প্রজননক্ষম ইলিশ ধরা, পরিবহন, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে উক্ত অভয়াশ্রমগুলোতে আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে যথোপযুক্তভাবে জাটকা নিধন প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে এবং ইলিশ উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: রইছউল আলম মন্ডল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, নৌ পুলিশ সুপার মো. জমসের আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম এবং মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইলিশ

২০ নভেম্বর, ২০২২
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ