পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান সরকার দেশকে পরাশক্তির কাছে বিক্রি করে দাসে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকার (আওয়ামী লীগ) জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে, বন্দুক-পিস্তল ব্যবহার করে, বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চলেছে এবং ইতোমধ্যে অনেকাংশে করেও ফেলেছে। বাংলাদেশ এখন একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- দেশকে নতজানু ও পরনির্ভরশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ঢাকা জেলার দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীক গণঅনশনে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে শতাধিক নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সম্বলিত নানা প্ল্যাকার্ড বহন করে। তিন ঘণ্টার অনশন কর্মসূচি শেষে পানি পান করিয়ে বিএনপি মহাসচিব অনশন ভঙ্গ করান।
এসময় বর্তমান সরকারকে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে তুলনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকারের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে পাক হানাদার বাহিনীর কোনো পার্থক্য আমি খুঁজে পাই না। কী ভয়ংকর কথা- যে মহিলাকে নোয়াখালীর সূবর্ণচরে যে ব্যক্তির নির্দেশে গণধর্ষণ করা হলো সেই নির্দেশকারী আওয়ামী লীগ নেতাকে উচ্চ আদালত থেকে জামিন দেয়া হয়েছে এক বছরের জন্যে। অথচ আমাদের এখানে শত শত হাজারো নেতাকর্মী আছেন যাদের বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে আটক করে রাখা হয়েছে তাদেরকে জামিন দেয়া হয় না। অন্যদিকে দুর্নীতির দায়ে দ-প্রাপ্ত মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মহীউদ্দিন খান আলমগীরসহ আওয়ামী লীগের নেতারা জামিন পান।
সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানির ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে কোনো আইন নেই, কোথাও কোনো বিচার নেই, এখানে আইনের শাসন নেই, প্রশাসন চলে না। সড়কের কী অবস্থা হয়েছে? প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে, অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। আজকে দেখছেন ক্রাইম বেড়েছে, কোথাও কোনো বিচার নেই্। কোথায় গেলে বিচার পাওয়া যাবে? কারণ দেশে কোনো সরকার নেই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশকে রক্ষা করার জন্য, জনগণকে রক্ষা করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করে আনতে হবে। কারণ তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রতীক, সংগ্রামের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আসুন আমরা সবাই সেই উদ্দেশ্যে সাহস নিয়ে আসি ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকে মুক্ত করি, দেশনেত্রীকে মুক্ত করি।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক খন্দকারের সভাপতিত্বে এই কর্মসূচিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, রফিক হাওলাদারসহ নবাবগঞ্জ, দোহারের স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।