বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেনাপোল বন্দরে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে কাগজপত্র ছাড়াই আমদানি করা জিলেট সেভিং ফোমের একটি চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। বুধবার বিকেলে চালানটি বন্দরের ১নং শেডের সামনে থেকে আটক করেন কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী। কাস্টমস কমিশনার এর নির্দেশনা অনুযায়ী, ভারতীয় ট্রাক এনএল-০১ এসি-৬৬৫৪ নাম্বারে গার্মেন্টসের চালানের সাথে ৬৫১ কার্টুন জিলেট শেভিং ফোমের চালানটি কাগজপত্র ছাড়াই বন্দর থেকে খালাশের জন্য ২ দিন অপেক্ষা করে। কাস্টমসের ইনভেস্টিগেশন রিসার্চ এন্ড ম্যানেজমেন্টের বিশেষ টিম (আইআরএম) ট্রাকটিকে নজরদারিতে রাখে। বিকেলের দিকে ভারতীয় ট্রাকসহ পণ্য চালানটি আটক করা হয়।
নো-এন্ট্রির মাধ্যমে চালানটি চোরাচালানের মাধ্যমে আনা হয় বন্দরে। চোরাচালানী চক্র এই চালানটির মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেস্টা করছিল। ট্রাকটি ৯নং শেডে কিছু পণ্য খালাস করে বাকি পণ্য নিয়ে বন্দরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে। ইতোমধ্যে আইআরএম টিম নিশ্চিত হয় যে ট্রাকে রক্ষিত অবশিষ্ট পণ্যের কোন কাগজপত্র নেই। পরবর্তীতে ড্রাইভার পরিস্থিতি টের পেয়ে ট্রাকটি বন্দরের ১নং শেডের সামনে রেখে পালিয়ে যায়। এই শেডেই সার্বক্ষণিক রাখা হয় প্রোকটার এন্ড গ্যামবেল বাংলাদেশ প্রা: লি: এর আমদানি পণ্য। স্থানীয় ট্রাক ড্রাইভারের সহয়তায় কাস্টমস কর্মকর্তারা পণ্যসহ ভারতীয় ট্রাকটি আটক করে কাস্টম হাউসে নিয়ে আসে।
আটককৃত পণ্যসহ ভারতীয় ট্রাকটি ইনভেন্ট্রি করার লক্ষ্যে একটি টিম গঠন করা হয়। স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তালা ভেঙ্গে ট্রাকটি খোলা হয়। এতে চোরাচালানের মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণায় আনীত ৬৫১ কার্টুনে মোট ৭৮১২টি সেভিং ফোম পাওয়া যায়। যার শুল্কায়ন যোগ্য ওজন ৩২৬৫.৪১৬ কেজি। পরবর্তীতে ৯নং শেডে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ট্রাকটিতে একটি মেনিফেস্টোর মাধ্যমে তিনটি পণ্য চালান আনা হয়। আটককৃত পণ্যের প্রতিটি কার্টুনে শিপিং টু প্রোকটার এন্ড গ্যামবেল বাংলাদেশ প্রা: লি: লেখা স্টিকার ছিল। এভাবে একটি অসাধু চক্র অভিনব কৌশলে সরকারের রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করছে। যার জন্য জাতীয় উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। কমিশনার অব কাস্টমস এর চৌকস আইআরএম টিম রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।
আটককৃত ৩২৬৫.৪১৬ কেজি ফোমসহ ভারতীয় ট্রাকটি কাস্টমস আইন অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টি তদন্ত করতে অতিরিক্ত কমিশনার জাকির হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।