Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোরেই বসে শ্রম বিক্রির হাট

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) থেকে ইসমাইল খন্দকার | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

সিরাজদিখানে আলু রোপন ও উত্তোলনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার দিনমজুরদের শ্রম বিক্রির হাট বসে লতব্দী, কেয়াইন, ইছাপুরা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ও চরাঞ্চলে। সূর্যদয়ের সাথে সাথে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিক ও মালিকদের হাটে আসতে দেখা যায়। স্থানীয় শ্রমিক না থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আশা শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে বেশ। এ এলাকার প্রধান ফসল আলু হলেও ধান, ভুট্টা, পাট, আখ, শাকসবজিসহ বাড়ির কাজের জন্যও তারা শ্রম বিক্রি করে থাকে।
স্থানীয় ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন এই ব্রিজে প্রায় ১শত থেকে ৪ শত শ্রমিক এক সাথে জমায়েত হয়। উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের চরকমলাপুর ব্রিজে প্রায় ১০ বছর ধরে চলা হাট্টি চলে সকাল ৯ টা পর্যন্ত। সংসারে অভাব-অনটনের কারণে রংপুর, শেরপুর, দিনাজপুর, রৌমারি, গাইবান্ধা, নিলফামারী, কুড়িগ্রাম, ভোলা, বগুরা থেকে অসংখ্য নারী-পুরুষ এই জেলায় আসেন। জেলার প্রধান ফসল আলু হওয়ায় মৌসুমের শুরু ও শেষের দিকে শ্রমিকদের বেশি দেখা যায়। তবে আলু উঠা শেষ হলেই কিছুদিনের মধ্যেই এর চাহিদা অধিকাংশে কমে যায়। শ্রমিকরা বলেন, সকাল থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত পুরুষ ৩০০-৩৫০ টাকা ও মহিলাদের ২০০-২৫০ টাকা মজুরিতে কাজ করে।
কমলাপুর হাটের শ্রমিক আব্দুস ছামাদ (৪৭) বলেন, আমি এই এলাকায় নতুন এসেছি। আমার বাড়ি শেরপুর নালিতা বাড়ি। আলুর মৌসমে কাজ বেশি থাকায় এক দুই মাস কাজ করতে আসি। অন্য সময় এলাকায় কৃষি কাজ করি।
উপজেলার নিমতলা হাটের আরেক শ্রমিক জহিরুল ইসলাম (৪০) বলেন, বাড়িতে অভাব অনটনের জন্য এখনও বিয়ে করিনি। কোন জায়গা-জমি না থাকায় ও সংসারে অভাব-অনটনের কারনে আমাকে মাদরাসায় ভর্তি করেছিল। এক সময় ঐ মাদরাসায় শিক্ষকতাও করি। যে বেতন দিত তাতে আমার চলা কষ্ট হয়ে যেত। তাই অধিক টাকা উপার্জনের জন্য এ জেলায় আসি। একটি নির্দিষ্ট স্থান থাকায় আমাদের জন্য ভাল হয়েছে।
শ্রমিক ক্রেতা হাজী আমিনুল হোসেন (৫০) বলেন, আলুর মৌসমে শ্রমিকের চাহিদা থাকে অনেক। পুরুষ শ্রমিকদের তখন ৪০০-৫০০ টাকা মজুরি দিতে হয়। এখন আলুর মৌসুম শেষের দিকে তাই তাদের চাহিদা কমছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ