Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাবান্ধায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই চরম দুর্ভোগে পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা

পঞ্চগড় থেকে এস,এম লায়েক আলী | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

দেশের সর্ব উত্তরে অবস্থিত তেতুঁলিয়ায় বাংলাবান্ধাস্থলবন্দরটিতে আজো মোবাইল নের্টওয়ার্কের আওতায় আসেনি। অথচ এই স্থলবন্দরে বছরে কোটি কোটি রাজস্ব আদায় হয়। ব্যবসা বান্ধব বাংলাবান্ধাস্থল বন্দরটির ওপারে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ী।
গত ১৯৯৭ ইং সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্থল শুল্ক স্টেশন হিসেবে শুধুমাত্র নেপালের সাথে সীমিত পরিসরে বানিজ্য পরিচালনার জন্য স্টেশনটির কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ত্রি-মুখী বানিজ্য সম্ভাবনা দ্বার উম্মোচিত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার এই স্থল শুল্ক স্টেশনটিকে অভ্যন্তরীন বন্দরে পরিনত করে। এরপর ২০১১ ইং সালে জোরে শোরে ভারত বাংলাবান্ধা বন্দর দিয়ে বানিজ্য কার্যক্রম চালু হয়।
এরপর ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ভূট্রান বাংলাদেশের সাথে বানিজ্য কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাবান্ধাস্থলবন্দর হতে ভারতের শিলিগুড়ির দুরত্ব ৮ কিলোমিটার। ভারতের দার্জিলিং ৮৫ কিলোমিটার ও নেপালের কঙ্কর ভিটা ৫৯ কিলোমিটার এবং ভূট্রানের দুরত্ব ১২০ কিলোমিটার।
পঞ্চগড় জেলার এই বাংলাবান্ধা বন্দরটি শুধু আঞ্চলিক বানিজ্য উন্নয়ন নয়, পর্যটন খাতের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের এই বন্দরটি পরাশক্তি চীনের সাথে সহজেই বানিজ্য কার্য়ক্রম করতে পারে। ভৌগলিক ভাবে বাংলাবান্ধাবন্দরটি দেশের অন্যতম বন্দর। সময়ের সাথে বাংলাদেশের বানিজ্য প্রসারে ভারত, নেপাল ভূট্রান এবং চীন স্ব স্ব অবস্থান থেকে বানিজ্য প্রসারে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। চতুর্থদেশীয় শুল্ক স্টেশন হতে পারে বাংলাবান্ধাবন্দরটি।
এছাড়া যে সব পর্যটক দার্জিলিং, নেপাল, ভূট্রান ভ্রমন করতে আগ্রহী, তারা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরকে বেছে নেন। প্রায় প্রতিদিন বাংলাবান্ধাবন্দর দিয়ে পর্যটকসহ দু’শতাধিক মানুষ ভারতের শিলিগুড়ি, চেন্নাই, ভেলর, কলকাতা, নেপাল এবং ভূট্রান যাতায়াত করেন। এক সময় এই বন্দরটি ভৌগলিক কারনে দেশের অন্যসব বন্দরে চেয়ে অন্যতম হয়ে উঠবে বাংলাবান্ধাবন্দর।
অথচ বাংলাবান্ধাস্থল বন্দরটিতে মোবাইল নের্টওয়াকের আওতায় নেওয়া হয়নি এখনো। দেশের গুরুত্বপূর্ন এই বন্দরটি দেশের অর্থনীতি সহ পর্যটকদের কাছে অর্থবহ। ৭১’এ বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চল হিসেবে পরিচিত তেতুঁলিয়া একটি গুরুত্বপূর্ন এলাকা। ভারত বাংলাদেশের পরম বন্ধু হিসেবে পরিচিত। অথচ বাংলাবান্ধায় ভারতের মোবাইল নের্টওয়াক সক্রিয় থাকলেও বাংলাবান্ধাস্থল বন্দর সীমানায় বাংলাদেশে কোন মোবাইল নের্টওয়াক নেই। কিন্তু স্থলবন্দরটি সময় পেরিয়ে গেছে, ২১ টি বছর। গোটা বাংলাবান্ধা এলাকা জুড়ে কোন মোবাইল কোম্পানীর নের্টওয়াক দেয়া হচ্ছেনা এখনো। বিষয়টি সরকারের উচ্চ মহল জ্ঞাত থাকলেও কোন সাড়া নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ