ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘আমার গ্রাম’ আমার শহর। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, গ্রাম এখন শহরে রপান্তিত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও উন্নয়শীল দেশে রুপান্তিত করা। সেই লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
গত বুধবার বিকালে ভোলা পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মাথা পিছু আয় ও জিডিবি হার বেড়েছে, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। যে বাংলাদেশ একদিন পিছিয়ে ছিলো সেই দেশ এখন বিস্ময়কর উত্থান, সারাবিশ্বের কাছে এখন প্রশংসিত।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় চার নেতা ও বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্ট শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন, তিনি বিশ্বের নির্যাতিত নিপিরীত মানুষের বন্ধু ছিলেন। তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুই ছিলেন না, তিনি বিশ্বেরও বন্ধু ছিলেন। তিনি সবার প্রাণপ্রিয় নেতা ছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচন যেমনি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন হয়েছে ঠিক তেমনি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনও সুষ্ঠ হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তৃতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশের সুন্দর এই আয়োজনে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অংশগ্রহন কারদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ভোলার পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছে, ভোলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। আমার একটি স্বপ্ন বাকি রয়েছে, আশা করি তা পূরন হবে। ভোলা-বরিশাল সেতু হলেই এ জেলা সিঙ্গাপুরের আদলে তৈরী করা হবে।
অনুষ্ঠিানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশের অতিরক্তি আইজিপি মো. মোখলেসুর রহমান (বিপিএম-বার), জেলা ও দায়রা জজ মো. ফেরদৌস আহমেদ, জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক, মো. আতোয়ার রহমান বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ভোলা। এ সময় পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন, (পিপিএম) জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মনিন টুলু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, গণপুর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সায়েম হোসেন, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, বোরহানউদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ভোলা চেম্বারর্সের পরিচালক সফিউর রহমান, মনপুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তারসহ জেলার সকল উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অর্ধশতাধিক ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিজীদের মধ্যে অনুষ্ঠানের প্রধান ও বিশেষ অতিথি পুরস্কার তুলে দেন। সন্ধ্যায় ঢাকা ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান হয়।