বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীতে ব্যাটারিচালিত ভ্যানের জন্য নির্মমভাবে খুন করা হলো ওই ভ্যানের কিশোর চালককে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ ওই ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে দুই ঘাতককে।
জানা যায় বুধবার দুপুরে জেলার গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার সীমান্ত পাকড়ি ঝিনাখাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ভ্যানচালকের নাম হেফাজুল ইসলাম (১৪)। সে তানোরের মুন্ডুমালা পৌর এলাকার উত্তরপাড়া মহল্লার সাইফুদ্দিন মন্ডলের ছেলে।
আটকরা হলেন- মুন্ডুমালা চারপুকুরিয়া মহল্লার মণ্ডল কুমারের ছেলে শ্রাবণ ওরফে শাওন (২৩) এবং পার্শ্ববর্তী সাদিপুর মহল্লার বাসেদ আলীর ছেলে ফারুক হোসেন (৩০)।
রাজশাহীরর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ জানান, হেফাজুল ইসলামের ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যান আছে। বুধবার সকালে ওই দুই যুবক গোদাগাড়ীর পাকড়ি যাওয়ার কথা বলে তানোরের মুন্ডুমালা বাজার থেকে হেফাজুলের ভ্যানটি ভাড়া করে।
পরে তারা গোদাগাড়ী ও তানোরের সীমান্ত এলাকার নির্জন ঝিনাখাড়ির কাছে গিয়ে কৌশলে ভ্যানটি থামান। এরপর ওই দুই যুবক ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে কিশোর ভ্যানচালকের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তারা লাশটি খালের ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রেখে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যান।
ওসি আরও জানান, ভ্যানটি নিয়ে যাওয়ার পর তারা রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙা এলাকায় গিয়ে বিক্রি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিক্রি না হওয়ায় বিকেলে তারা স্থানীয় একটি আম বাগানে ভ্যানটি ফেলে রেখে চলে যান।
এদিকে, দীর্ঘ সময় ধরে ভ্যানটির মালিকের কোনো সন্ধান না পেয়ে স্থানীয়রা ভ্যানে লিখে রাখা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। এ সময় হেফাজুল ইসলামের পরিবারের এক সদস্য গিয়ে ভ্যানটি নিয়ে যান।
তবে হেফাজুলের কোনো খবর না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা। পরে তারা মুন্ডুমালা বাজারে গিয়ে অন্য ভ্যান চালকের কাছে তার ব্যাপারে খোঁজ করেন। তখন চালকেরা তাদের জানান, সকালে ওই দুই যুবক হেফাজুলের ভ্যান ভাড়া করে নিয়ে যান।
এরপর হেফাজুলের সন্ধানে তার পরিবারের সদস্যরা ওই দুই যুবকের বাড়িতে গেলে প্রথমে তারা কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। তবে তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বিষয়টি তারা স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে জানান। পরে পুলিশ গিয়ে ওই দুই যুবককে আটক করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই তারা ভ্যানচালক হেফাজুলকে নির্মমভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের সঙ্গে নিয়েই তানোর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হেফাজুলের লাশ খুঁজে পায়।
তবে লাশটি গোদাগাড়ী থানা এলাকায় পড়ে থাকায় গভীর রাতে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।