Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আসামেও যাত্রীবাহী জাহাজ চালু করতে চায় সরকার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ভারতের কলকাতায় জাহাজ চালুর দিনক্ষণ নির্ধারণের পর আসামসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অন্য অঞ্চলেও যাত্রীবাহী জাহাজ চালু করতে চায় বাংলাদেশ সরকার বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। এসময় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৭০ বছর পরে আগামী ২৯ মার্চ বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় জাহাজ চলাচল শুরু হবে। সব সময় ইকনোমির দিকে তাকালে হবে না। কিছুটা রিলেশনের দিকেও তাকাতে হবে। এটা আমরা চালু করি তারপর কোন পর্যায়ে নিতে পারব চিন্তা-ভাবনা করব। তিনি বলেন, আমরা আসামসহ অন্য দিকেও যাব। কিছুদিন আগে প্রাইভেট একটি কোম্পানি ঘুরে গেছে। শুধু আঞ্চলিক নয়, এ অঞ্চলের বাইরে যাওয়ারও আগ্রহ আছে। আমাদের সক্ষমতা যত বেশি বাড়বে, বিস্তৃতি ততো বেশি বাড়বে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। ঢাকায় উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় পর্যায় চলছে। চট্টগ্রামেও কার্যক্রম চলছে। সরকারের লক্ষ্য, নদী দখলমুক্ত করা। কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ঢাকা শহরের নদীগুলো মানুষের বসবাস ও চালাচলের উপযোগী করতে চাই। অল্প দিনেই আপনারা এর প্রতিফলন দেখতে পাবেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই কার্যক্রম টেকসই হবে, কারণ একটা মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এই প্ল্যান যদি আমরা চূড়ান্ত করতে পারি তবে শুধু দখলমুক্ত নয়। বুড়িগঙ্গা-তুরাগ-বালু-শীতলক্ষ্যা নদীর পানিও দূষণমুক্ত করতে চাই। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত দিতে চাই না। আমরা এ বিষয়ে মুফতি-মাওলানাদের সঙ্গে কথা বলেছি। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনকে দায়িত্ব দেয়া আছে। তিনি প্রতিষ্ঠানগুলোতে জড়িতদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আমরা সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। তিনি বলেন, আমরা ১০ হাজার কিলোমিটার নদীপথ তৈরি করতে চাই, নদীকে দখলমুক্ত করতে চাই। ঢাকা ও চট্টগ্রামকে পরিবেশবান্ধব করতে চাই।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নৌখাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। তাদের অনেক বিনিয়োগকারী রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলেছি বিনিয়োগ করতে কোনো অসুবিধা নেই। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তত আছি। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে যেহেতু তাদের সঙ্গে একটা কার্যক্রম আছে, এগুলো নিয়ে তিনি জানতে চেয়েছেন। শুধু চট্টগ্রাম বন্দর নয়, আমরা মংলা, মাতারবাড়ি ও পায়রা বন্দর নিয়ে যে কাজগুলো করছি, ভবিষ্যতে কী করতে চাই সে বিষয়ে তাকে অবহিত করেছি।
আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ও নিরাপত্তার বিষয়টি স্থান পায়। এছাড়া মোংলা, পায়রা বন্দর ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়। প্রতিমন্ত্রী রাষ্টদূতকে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি উপহার দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ