পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দানবদের দায়িত্ব দেয়ার কারণে গাড়িচাপায় একের পর এক শিক্ষার্থীকে প্রাণ দিতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রত্যেক জায়গায় আপনি দানবদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন। শিশুর রক্ত যারা পান করে, কিশোরের রক্ত যারা পান করে তাদেরকেই আপনি (প্রধানমন্ত্রী) মন্ত্রী বানিয়েছেন, তাদেরকেই দায়িত্ব দিয়েছেন। এরআগে জাবালে নূর বাসের নিচে চাপা পড়ে দুই শিক্ষার্থীর জীবন চলে গেলো। এরপরে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়লো নিজের অধিকারের জন্য। বুধবার (২০ মার্চ) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে সংগঠনের সাবেক সভাপতি আবদুল আলী মৃধার মৃত্যুতে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি একথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ক্ষমতায় থাকলে এই শিশুদের জীবনের নিরাপত্তা নাই, তাদের নিরাপত্তার জন্য তারা আন্দোলন করলো। সেই আন্দোলনের মধ্যে আপনার পুলিশ, আপনার র্যাব সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। আপনারা শিশুর রক্ত পান করেন, আপনারা কিশোরের রক্ত পান করেন। মঙ্গলবার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার মারা গেলো সুপ্রভাত বাসের নিচে চাপা পড়ে। কেনো? আপনি আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময়ে বলেছিলেন পদক্ষেপ নেয়া হবে। আজকে আপনার সমস্ত যানবাহন ব্যবস্থাপনার জন্য যে মাফিয়া গডফাদার শাহজাহান খানকেই আপনি দায়িত্ব দিলেন সেদিন। কী দায়িত্ব দিলেন? এই ব্যবস্থাপনার করার জন্য। আপনি চোরকে চুরির বিচার করতে দিলেন। বাহ! শেখ হাসিনা। যে দানব মানুষের রক্ত পান করতে তাকেই দিচেছন মানুষের জীবনের নিরাপত্তার জন্য। এটি হতে পারে না।
তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলার পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হলেও সরকার তা নেয়নি। তাই থামছে না নৈরাজ্য। প্রতিটি মানুষ আতঙ্কে ভুগছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা থাকে না। তারা নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করলো রাজপথের ইট কংক্রিটের ধোয়া উড়িয়ে, আর সেই আন্দোলনে পুলিশ, র্যাব ঝাঁপিয়ে পড়লো।
এতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, তাঁতী দলের সভাপতি হুমায়ুন ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুর রহমান, উলামা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ নেছারুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।