পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-এডিবি’র কাছ থেকে ১১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা (১৪ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ সহায়তা পাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিলভান এগ্রিকালচার লিমিটেড। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও এর মাধ্যমে কৃষকদের আয় এবং দক্ষতা বাড়াতে প্রাণ গ্রুপকে এই ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এডিবি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এডিবি ও সিলভান এগ্রিকালচার এর মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এডিবি’র দেয়া অর্থ পটেটো চিপস, পটেটো ফ্লেকস ও পাস্তা’র নতুন প্রোডাকশন লাইন নির্মানে ব্যয় করা হবে। নতুন এই প্রকল্পে প্রায় ৪৫০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে যার অর্ধেক হবে নারী। এতে সরাসরি লিঙ্গ বৈষম্য কমাতে ভূমিকা রাখবে।
এডিবি’র ইনভেস্টমেন্ট স্পেশালিস্ট (প্রাইভেট সেক্টর) তুশনা ডোরা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নে কৃষি সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখে চলেছে। এই খাতে বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে; যার ফলে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষি খাতের সুবিধা ভোগ করছে।
তিনি বলেন, কৃষি খাতের উন্নয়নে এডিবি বাংলাদেশে প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগের অংশ হিসেবে সিলভান এগ্রিকালচারকে দ্বিতীয়বারের মতো এই ঋণ দিচ্ছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে কয়েক হাজার কৃষকের জীবনমান উন্নত হবে ও নারীরা এ কাজের সাথে যুক্ত হয়ে নিজেদের দক্ষতা ও আয় বৃদ্ধির সুযোগ পাবে।
দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল হবিগঞ্জে অবস্থিত প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পটেটো প্রসেসিং এর নতুন প্রোডাকশন লাইন চালু হলে প্রায় দুই হাজার চুক্তিবদ্ধ কৃষকের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় আলুর নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন, কৃষি জমি বৃদ্ধি ও সিলভান এগ্রিকালচার হতে পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার মাধ্যমে কৃষকদের আয় ৫০ শতাংশ বেড়ে যাবে।
এডিবি’র দেয়া এ প্রকল্প কৃষি খাতে প্রাইভেট সেক্টরকে প্রথম দেয়া ঋনের পুনঃসহায়তায় অংশ। এর আগে, ২০১২ সালে সিলভান এগ্রিকালচারকে লিকুইড গ্লকোজ, কাসাভা থেকে স্টার্চ তৈরির প্রোডাকশন লাইন নির্মাণে ২৫ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে এডিবি।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী ও এডিবি’র ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ক্রিস্টোফার থেইম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা ও বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর চাই লি সহ দুই প্রতিষ্ঠানের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাণ গ্রুপ বর্তমানে জুস, বেভারেজ, বেকারি, কনফেকশনারিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৫০০ ধরনের খাবার সামগ্রী তৈরি করছে। বর্তমানে এ গ্রুপে সরাসরি এক লাখের অধিক কর্মী এবং প্রায় এক লাখ চুক্তিভিত্তিক কৃষক রয়েছে। অন্যদিকে এশিয়া ও প্রশান্ত মহসাগরীয় অঞ্চলে দারিদ্রতা দূর ও সমৃদ্ধি অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি’র বর্তমান সদস্য রয়েছে ৬৭।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।