Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জনজীবন

সেলিম আহমেদ, সাভার থেকে : | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মশার যন্ত্রণায় সাভার পৌরসভা ও এর আশপাশ এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনরাতে সমানতালে মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। কিন্তু বেসামাল পরিস্থিতিতে মশা নিধনে নেই কার্যকর কোনো উদ্যোগ। এ নিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।
বন্ধ ড্রেন পরিষ্কার না করায় সৃষ্ট পানিবদ্ধতা মশা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন পৌর বাসিন্দারা। ময়লা-আবর্জনার স্ত‚পে বৃদ্ধি পাচ্ছে মশার প্রজনন। মশার কামড়ে মানুষই নয়, গৃহপালিত পশু অস্বস্তিতে রয়েছে। শিশু, বৃদ্ধ ও হাসপাতালে ভর্তি রোগী এমনকি মসজিদের মুসল্লিরা মশার কষ্টে আছেন।
এ প্রসঙ্গে সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেছে, মশা নিধনের জন্য সরকারের কোনো বাজেট বা বরাদ্দ নেই। পৌরসভা থেকে নিজস্ব উদ্যোগে কিছু ওষুধ কিনে ব্যবহার করা হয়, যা নগণ্য এবং উল্লেখ করার মতো নয়। তিনি বলেন, ফগার মেশিন থাকলেও ওষুধ না থাকায় সেগুলোর তেমন ব্যবহার নেই। পৌর কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কিছু করার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় বিভিন্ন সময়ে মশার ওষুধ ছিটানো হয় বিশেষ ব্যবস্থায়। এছাড়া বরাদ্দ না থাকায় পৌর এলাকায় মশা নিধনে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় না। শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী আরো বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মশা নিধনে কোনো বাজেট নেই। ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও পৌর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কিছু করতে পারছে না।
জানা গেছে, এরই মধ্যে আমগাছে বিষ প্রয়োগ করার ফলে পাড়ায় পাড়ায় মশা বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। এছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ড্রেন-নর্দমায় পানি জমে তা মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। এতে করে মশাবাহিত ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি অসুখ-বিসুখ ছড়িয়ে পড়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মশার কয়েল জ্বালিয়েও রেহাই পাচ্ছে না মানুষ। পৌর এলাকায় রয়েছে ছোট-বড় একাধিক পুকুর ও ডোবা। সেখানে রয়েছে কচুরিপানা। এছাড়া আছে অপরিচ্ছন্ন জলাশয় ও লেক। সব মিলিয়ে পৌর এলাকার পাড়া-মহল্লা ও অলি-গলিতে মশার বংশ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে, যা পৌরবাসীর জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আড়াপাড়ার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মশারি টাঙিয়ে বাচ্চাদের পড়াতে হয়। ছায়াবীথির বাসিন্দা দিনমজুর রুস্তম আলী বলেন, দিনের উপদ্রব যেমন তেমন সন্ধ্যার পর কোনো কাজই করা যায় না মশার অত্যাচারে। কাজী মোকমাপাড়ার বাসিন্দা পান দোকানি হরি দাস বলেন, কয়েল জ্বালিযে কোনো লাভ হয় না। পৌরসভা থেকে ওষুধ স্প্রে না করলে মশা দমানো যাবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ