Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে

সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দিন দিন অবনতি ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) অত্যন্ত অসুস্থ। তার রক্ত পরীক্ষা করানোর কথা ছিল, করানো হয়নি। আজ সকালে তিনি বমি করেছেন। কিছুই খেতে পারছেন না। চিকিৎসা না দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ কারাগারেই বিশেষ আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। খালেদা জিয়া শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
শুনানি শেষে জেলগেটের বাইরে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় খালেদা জিয়া ভুগছেন। দিন দিন তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। তিনি ঘাড়টাও চেয়ারের সঙ্গে সোজা রেখে বসতে পারছেন না। তার চিকিৎসা করাটা অত্যন্ত জরুরি। তার যে চিকিৎসকরা রয়েছেন, তাদের দিয়ে অবিলম্বে তার চিকিৎসা করানো দরকার। নইলে যেকোনো সময় তার অসুস্থতা তীব্র হয়ে যেতে পারে।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব এক বিবৃতিতে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় বন্দুকনধারীদের ব্রাশফায়ারে ৭ জনের নিহত ও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হওয়ার সন্ত্রাসী ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, একতরফা উপজেলা নির্বাচনে জনগণ কোন সাড়া দেয়নি। কারণ বর্তমান সরকারে অধীনে কোন নির্বাচনকে জনগণ বিশ্বাসযোগ্য মনে করে না। এই সরকার জনগণের আস্থা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। বিরোধীদলহীন একদলীয় শাসনই এই সরকারের টিকে থাকা একমাত্র ভরসা। তাই দেশকে বিরোধীদলহীন করার জন্য সরকার তার সরকারী যন্ত্রকে যত্রতত্রভাবে ব্যবহার করছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের নিশ্চিহ্নকরণের যাবতীয় উদ্যোগ আয়োজনে কোনো কমতি নেই।
দখলদারিত্ব নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা নিজেরাই খুনখারাপিতে লিপ্ত মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রহীনতা ও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুপস্থিতির কারণেই নির্বাচন নিয়ে দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। বিনাভোটে স্থানীয় ক্ষমতা আয়ত্বে নিতে আধিপত্যের লড়াইয়ের জন্যই নির্বাচনী দায়িত্বরত কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নারী সদস্যসহ নিহত অন্যান্যদের প্রাণ ঝরিয়ে দেয়া হলো। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মধ্যরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন স্থানীয় পর্যায়ে দূর্বৃত্তরা। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই বলেই ক্ষমতাসীন নেতারা স্থানীয় ক্ষমতা দখল করতে হিংসা-প্রতিহিংসার প্রতিযোগিতায় রক্ত ঝরাচ্ছে। হিংসাবিদ্বেষ ক্ষমতাসীনদের রাজনীতির কর্মসূচি হওয়ার কারণে মানুষ হত্যার মত নারকীয় ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিনই । উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনপদের পর জনপদে রক্ত গঙ্গা বইছে।
তিনি বলেন, বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী দায়িত্বরত ব্যক্তিদের ওপর এটি একটি সুপরিকল্পিত আক্রমণ। এই হতাহতের ঘটনায় বিএনপি নেতা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করে আশু সুস্থতা কামনা করেন। একইসঙ্গে সন্ত্রাসী ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ