Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসন্ন বাজেটে সাড়ে ৮ শতাংশ জিডিপির লক্ষমাত্রা

প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৯, ৯:০৫ পিএম | আপডেট : ৯:২৩ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০১৯

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হবে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ । বাজেটে কোনো কিছুই কমবে না সব কিছুই বাড়বে। বাজেটে কথা কম থাকবে কিন্তু আকারে কমবে না। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে দেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও পেশাজীবিদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভা শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা আশা করছি আগামী বাজেটের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো। সবার সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে বাজেটের আকার নির্ধারণ করবো। প্রবৃদ্ধি অর্জন যেন সাড়ে ৮ শতাংশ হয় সেই হিসাব মাথায় রেখে বাজেট ঘোষণা করা হবে। আগামী বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকি পালিত হবে। সেই স্পিরিট থেকে এই জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টা করা হবে।

সভায় অর্থনীতিবিদরা ব্যাংকিং খাতে সংস্কার, এনবিআরকে শক্তিশালীকরণ, কর ব্যবস্থাকে অটোমেশনের আওতায় আনা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন বলে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি অর্থমন্ত্রী বলেন, কর জিডিপি রেশিও বাড়াতে এনবিআরকে শক্তিশালী করে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। অনলাইনে তথ্য ই-পেমেন্ট সাভিস চালু করা হবে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এর পর থেকে যে কেউ, যে কোন জায়গায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে পারবে না। অনেকে জায়গা নিয়ে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে হবে। একই সঙ্গে ছোট পরিসরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে অর্থ নিয়ে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান করে। অর্থ নেয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। বেসরকারিভাবে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না করে, সরকারের করা উচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শিক্ষাখাতে বাজেট বৃদ্ধি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিবিদরা শিক্ষাখাতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। বাস্তবতা হল- প্রকল্পে শিক্ষার জন্য আলাদা অঙ্গ থাকে। শুধু প্রাইমারী শিক্ষাই শিক্ষা না, এর বিষয়টা অনেক বিস্তৃত। সেই হিসেবে শিক্ষায় কখনও বরাদ্দ কমে না বরং বাড়ে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তাই আগামী বাজেটে মেগা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বেশি রাখবো, যাতে করে প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করা যায়।

আরো দুটি কাজ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মনোযোগ হতে হবে। দেশের প্রতিটা গ্রামকে শহরে রুপান্তর করা হবে। যেখানে সেখানে হাটবাজার হবে না। জমি সাশ্রয় করে কৃষি কাজে ব্যবহার করা হবে। দেশের তরুণেরা ভবিষ্যত। তরুণ প্রজন্মের জন্য বেশি বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজেট

১৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ