Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেবিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের ৬৭ কেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনার দাবি

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশাসনের সহায়তায় ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আ.লীগ দলীয় মনোনিত প্রার্থীকে পরাজিত করার অভিযোগ এনে ভোট পুনঃগণনার দাবি জানিয়েছেন আ.লীগ মনোনিত প্রার্থী মো: হাসনাত জামান চৌধুরী জজ।
পঞ্চগড়ের রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত জামান চৌধুরী জজ গত ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত দেবিগঞ্জ উপজেলার মোট ৬৭ ভোট কেন্দ্রের ভোট পুণঃগণনা করে সঠিক ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান।
প্রার্থী অভিযোগে বলেন, প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে ভোট গণনার পূর্বেই তার এজেন্টদেরকে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয় এবং তার প্রাপ্ত ভোটের হিসাবও সঠিকভাবে দেয়া হয় নাই। জনগণের ভোটে জয়লাভ করার পরও ভোট গণনায় অনিয়ম পূর্বক আমার বিপক্ষে ফলাফল প্রদান করা হয়েছে। দেবিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মো: আসাদুজ্জামান আসানের বাড়িতে গত ৯ মার্চ রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দুইবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলিশ ফোর্সসহ হামলা চালায় এবং আল্টিমেটাম দেন যে, উক্ত সময় হতে ১৫ মিনিট সময় দেন থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করতে হবে।
অভিযোগে তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে কোন মামলা, লিখিত অভিযোগ কিংবা গ্রেফতারি পরোয়ানাও নেই। উদ্দেশ্য শুধু নৌকায় ভোট করতে না দেয়া। শুধু তাই নয় চিলাহাটি ইউনিয়নের মাঝিয়ালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা মার্কার এজেন্ট ফলাফলের তালিকা চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হেলমেট পড়িয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে ফলাফল পাওয়ার পর দেখা যায় ভোটকেন্দ্রে মোট ১১২২ ভোট গ্রহণ হয়। প্রাপ্ত ফলাফল ও বাতিল ভোটসহ দাঁড়ায় ১২০৫টি। অবশিষ্ট ৮৩টি ভোট বা ব্যালট পেপার গায়েবীভাবে ভোট হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, নতুন বন্ধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশে নৌকা মার্কার ভোট গ্রহণ হয় ৪১৮টি। সাইকেল মার্কায় ভোট হয় ৬৫০টি। নেতা-কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে পুনরায় ভোট গণনা করলে ফলাফল পরিবর্তন হয়ে যায়। নৌকা প্রতিক ৪৬৮টি ভোট, মোটরসাইকেল ৬০০ ভোট, দেবীগঞ্জ ডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ ঘণ্টা বিলম্বে ফলাফল দেয়া হয়। যা আগের মৌখিক ফলাফলের সাথে সামঞ্জস্য নয়।
এছাড়াও টেপ্রীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা প্রতিকে ৪১৯ ভোট দেখানো হয়। অথচ প্রাপ্ত এজেন্টদের তথ্য মোতাবেক ২০০ ভোট কম দেখানো হয়। প্রশাসনিক বিভাগ প্রভাবিত হয়ে একাধিক অনিয়মের ঘটনা ঘটিয়ে সঠিকভাবে ভোট গণনা করেনি এবং ফলাফলও সঠিকভাবে প্রকাশ করা হয় নাই বলে অভিযোগ করেন হাসনাত জামান চৌধুরী জজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ