রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আগামী ২৪ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মর্যাদার লড়াইয়ে প্রার্থীদের পক্ষে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এবারের নির্বাচনকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদার লড়াই হিসাবে দেখছেন নেতারা। এ নির্বাচনে ৩টি পদে ৯ জন প্রার্থী মাঠে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এদের মধ্যে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাসের পক্ষে মাঠে নেমেছেন কোটালীপাড়া মেয়র হাজী মো. কামাল হোসেন শেখ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হিরন ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, পিনজুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রভাবশালী চেয়ারম্যান আবু সাইদ সিকদার।
এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কলাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কৃষ্ণ প্রসাদ মজুমদার, জেলা পরিষদ সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দেবদুলাল বসু পল্টু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ভীম চন্দ্র বাগচী, অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ বাড়ৈ, অ্যাডভোকেট নিখীল চন্দ্র দত্ত তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে এবং ১২টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২২জন সভাপতি সম্পাদক বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস কে সমর্থন দিয়ে সহযোগি সংগঠনের নেতাদের নিয়ে মাঠে নেমেছেন। অপর দিকে চিংড়ি মাছ প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুর রহমান হাওলাদারের পক্ষে- সাবেক মেয়র এইচ এম অহিদুল ইসলাম হাজরা, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন খান, জেলা পরিষদ সদস্য মাজহারুল আলম পান্না, কুশলা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদলসহ অন্যান্য নেতারা। আনারস প্রতীকের প্রার্থী কমল চন্দ্র সেনের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য কামাল হোসেন শেখ, সাবেক চেয়ারম্যান মিয়া হানিফ উজ্জামান, খায়রুল ইসলাম রিপনসহ অন্য নেতারা। বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাসের পক্ষের নেতারা বলেছেন- এখানে যেহেতু দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি সেহেতু নেতারা যে যার পক্ষে কাজ করতে পারে, ভোটাররা তাদের পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিবে, আমরা স্বাধীনতার পক্ষের মূল আওয়ামী লীগকে ধরে রাখার চেষ্টা করছি। মুজিবুর রহমান হাওলাদারের পক্ষের কর্মী সমর্থকরা বলেছেন- আমরা চাই একজন শান্তি প্রিয় প্রার্থীর কাজ কর্মে খুশি হয়ে ভোটারা রায় দিয়ে জনপ্রিয়তা প্রমান করবে। অন্যদিকে ৩ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে অন্যান্য নেতাকর্মীরা যে যারমত ভোট আদায়ের জন্য মাঠে নেমেছেন। তারা ইতোমধ্যে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের জন্য বিভিন্ন স্থানে সভা সমাবেশ উঠন বৈঠক ও পথযাত্রার মাধ্যমে চষে বেড়াচ্ছেন গোটা উপজেলা। তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো, ভোটারও অস্থির হয়ে উঠেছেন। মুলত এখানের সবাই আওয়ামী লীগের তাই লড়াইটা হবে নিজেদের মধ্যেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।