রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সুন্দরগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় সহকারী আইনজীবী ও তার পরিবারের ৪ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনাটি উপজেলার বামনডাঙ্গার ফলগাছা গ্রাম ঘটেছে। আহতরা ৩ দিন থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, গত বছর উপজেলার ফলগাছা বাজারে চাঁদার দাবিতে রামধন গ্রামের খগেন্দ্র কর্মকারের ছেলে সঞ্জয় কর্মকার ফলগাছা গ্রামের মৃত ফনিন্দ্র নাথ সেনের ছেলে জজ কোট, গাইবান্ধার সহকারি আইনজীবী কল্যাণ চন্দ্র সেন রাজেন্দ্রকে মারপিট করে। এ ঘটনায় রাজেন্দ্র বাদী হয়ে আমলী আদালত গাইবান্ধায় ২১৫/১৮ নং সিআর মামলা দায়ের করলে সঞ্জয় কর্মকারের মনে প্রচন্ড শত্রুতার জন্ম নেয়। রাজেন্দ্রকে হেনস্থা ও ঘায়েল করতে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে সঞ্জয়। এক পর্যায়ে রাজেন্দ্রর প্রতিবেশি অশ্বনী কুমার সঞ্জয়ের শশুর হওয়ায় সেখানেই অবস্থান করা শুরু করে সঞ্জয়। শশুর বাড়িতে থেকেই দীর্ঘদিন থেকে ভোগ দখলে থাকা রাজেন্দ্রের ১৯ শতাংশ জমির আমনধান গত বছর জোর পূর্বক কর্তন করে নিয়ে যায় সঞ্জয় গং। এ ব্যাপারেও আমলী আদালত গাইবান্ধায় সিআর ২৮/১৯ নং মামলা দায়ের করে রাজেন্দ্র। এরপর উক্ত জমি দখলে নেওয়ার পায়তারা করলে রাজন্দ্র ১৪৪/১৪৫ ধারায় ৪৫/১৯ নং পিটিশন মামলা দায়ের করে। এ পর্যায়ে সঞ্জয় আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং জীবন নাশে উদ্ধত হলে ১০৭/১১৭ ধারায় ৯৩/১৯ নং পিটিশন মামলা দায়ের করে রাজেন্দ্র। এ মামলায় গত ১৪ মার্চ আদালতে হাজিরা দেয় সঞ্জয় গং। এতে সঞ্জয় গং আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রাজেন্দ্র এর উপর। পরের দিন ১৫ মার্চ সকাল ১০ টার দিকে রাজেন্দ্র নিজস্ব কাজের জন্য মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি থেকে বের হলে সঞ্জয়ের শশুড় অশ্বনী কুমারের বাড়ির সামনে রাস্তায় পৌঁছা মাত্র সঞ্জয় গং মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে বাড়িতে নিয়ে ঘরের ভেতর আটকে রেখে রাজেন্দ্রকে এলোপাথারি মারপিট করে। খবর পেয়ে রাজেন্দ্রর স্ত্রী সাধনা রানী সেন (৪৭) কন্যা ছবিতা রানী সেন কান্তা (১৪), ছেলে জয়দেব চন্দ্র সেন সৈকত (০৯) অশ্বনী কুমারের বাড়িতে রাজেন্দ্রকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও এলোপাথারি মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। রাজেন্দ্রের কন্যা ছবিতা রানী সেন ও ছেলে জয়দেব চন্দ্র সেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। গুরুত্বর আহত রাজেন্দ্র ও তার স্ত্রী সাধনা রানী সেন হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। হাসপাতালে রাজেন্দ্র বরেন, আমাদেরকে মারপিট করে পাশাপাশি আমার ব্যাগের মামলার জরুরি কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান জানান, রাজেন্দ্রকে মারপিটের ঘটনাটি শুনেছি কিন্তু কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।