Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দায় এড়াতে পারেন না সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তাব্যক্তিরা

চুড়িহাট্টা অগ্নিকান্ড নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম

চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তাব্যক্তিরা এর দায় এড়াতে পারেন না। গতকাল শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘চকবাজার ট্র্যাজেডি ও ফলোআপ শীর্ষক’ গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন।

প্রাবন্ধিক-গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে বৈঠকে যোগ দেন এফবিসিসিআইয়ের রাসায়নিক ব্যবসা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বেলায়াত হোসেন, স্থপতি ও পরিবেশবিদ ইকবাল হাবিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে অগ্নিকান্ডে ৭০ জনের মৃত্যু ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তাদের অবহেলা, অবজ্ঞাকে সরাসরি দায়ী করে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সরকারের কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণেই এ হত্যাকান্ড। নাগরিক সমস্যা সমাধানে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকরী হচ্ছে না।

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর। চকবাজার ট্র্যাজেডির পর নাগরিক সমাজের করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি ১৩টি সুপারিশ উপস্থাপন করেন। রাজধানীর বাইরে রাসায়নিক গুদাম স্থানান্তর প্রক্রিয়া, পুনর্বাসনের পর সেখানকার পরিবেশ ছাড়াও পুরান ঢাকার ঝুঁঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণ ও রাসায়নিক গুদাম অপসারণে সরকারি টাস্কফোর্সকে সহায়তা করার বিষয়গুলো রয়েছে তার সুপারিশে।
নিমতলির অগ্নিকান্ডের পর ১৭ দফা সুপারিশের একটিও বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ এনে স্থপতি ও পরিবেশবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সে সিদ্ধান্ত হয়েছিল তার একটিও বাস্তবায়িত হয়নি। কর্মকর্তাদের অবহেলা, অবজ্ঞাজনিত হত্যাকান্ডের জন্য কাউকে শাস্তি দেয়া হয়নি। সরকার ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজছে। কিন্তু এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।

এফবিসিসিআইয়ের রাসায়নিক ব্যবসা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বেলায়াত হোসেন জানান, সরকারের গড়িমসির কারণে রাজধানীর বাইরে রাসায়নিকের গুদাম সরানো যাচ্ছে না। যেখানে শিল্প-কলকারখানা আছে, আমরা চাইছি তার পাশেই কেমিকেলের গোডাউন সরিয়ে নিতে। আমরা তো বারবার বলছি, আজকে আপনারা আমাদের জায়গা করে দেন, আমরা কালকেই চলে যাবো।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, পুরান ঢাকায় নাগরিক সমস্যা শনাক্ত ও সমাধান করার জন্য রাজউক, সিটি করপোরেশন, পূর্ত মন্ত্রণালয়, বিস্ফোরক অধিদফতরসহ দায়িত্বপ্রাপ্তদের একটি ‘বিশেষ সেল’ গঠন করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো থেকে একজন করে কর্মকর্তাদের নিয়ে এ বিশেষ সেলটি গঠন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ