Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কলারোয়া সীমান্ত দিয়ে আসছে অবৈধ পণ্য

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রাতের আধারে কলারোয়া সীমান্তে বেপরোয়া চোরাচালান শুরু হয়েছে। পাচার হয়ে আসছে কোটি কোটি টাকার ভারতীয় পন্য। প্রতক্ষ্যদর্শী সীমান্তবাসি জানায়, দিনের বেলা সীমান্তে গেলে নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়ে। সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ড এলাকায় টহল পোস্ট রয়েছে। পরস্পরকে দেখতে পায় এমন দূরত্বের ব্যবধানে সীমান্তে টহল পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। কেউ সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করলে দুই পাশের পোস্টের কেউ না কেউ তা সহজে দেখতে পায়। শুধু বাংলাদেশ বিজিবি’র টহল পোস্ট নয়; ওপারে ভারতে আরো কম দুরত্বের ব্যবধানে বিএসএফ’র টহল পোস্ট রয়েছে। রাত দিন ২৪ ঘণ্টা দুই দেশের টহল পোস্টে বিজিবি/বিএসএফ প্রহরা নিয়োজিত থাকে। তারপরেও সীমান্তে চোরাচালান শুরু হয়েছে। রাত গভীর হওয়ার সংগে সংগে চোরাচালানীরা ভারতীয় পন্য আনতে শুরু করে। কেড়াগাছি থেকে বড়ালী পর্যন্ত সোনাই নদী সীমান্তে এবং চান্দুড়িয়া ইছামতি নদী সীমান্তে চোরাচালানী পন্য আনা নেওয়ার জন্য প্রায় শ’খানেক নৌকা রয়েছে। ভোরে আজানের সময় আগত হলে সীমান্তে পাচারের কাজ শেষ হয়। কেউ বুঝতে পারেনা একটু আগে সীমান্তে চোরাচালানের ঢল বয়ে গেছে। সীমান্তে বিজিবিকে সহায়তার নামে কতিপয় ইনফরমার এবং ভারতীয় গরু আনার নামে সীমান্তে অবস্থান নেওয়া ব্যাক্তিরা চোরাচালানে সহায়তার কাজে নিয়োজিত হয়েছে। ইনফরমার ও ভারতীয় গরু আনার নামে সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থান নিয়ে বিজিবি’র গতিবিধির খবর দিয়ে তারা চোরাচালানে সহায়তা করে। আবার সখ্যতা থাকার সুবাদে বিজিবিকে লোভনীয় খাওয়া দাওয়া সরবরাহ করে কখনো বা ভূল তথ্য দিয়ে ভিন্ন স্থানে চোরাচালানের মালামাল আনায় সহায়তা করে। তাছাড়া উভয় দেশের এক শ্রেণী অসাধু সীমান্ত রক্ষীর সহায়তায় এই চোরাচালান শুরু হয়েছে বলেও সুত্র জানায়। পাচার হয়ে আসা পন্য সংগে সংগে মটর সাইকেল যোগে সীমান্ত থেকে নিরাপদ দুরত্বে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কেড়াগাছি ইউনিয়নের মুক্তিবাড়ি, বোয়ালিয়া ও পাচপোতার রাস্তায়, সোনাবাড়িয়া মঠ ও বড়ালী রাস্তায়, চন্দনপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর, ন’কাটির বিল ও রামভদ্রপুর রাস্তায় এবং কেরালকাতা ইউনিয়নের কোমরপুর ও কোটার রাস্তায় ভারতীয় পন্য নিয়ে কখনো ট্রাকে, কখনো পিকআপে কখনো মাইক্রোয় ভরে দেশের অভ্যান্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সীমান্তের কেড়াগাছি চারাবাড়ি, কেড়াগাছি রথখোলা, কেড়াগাছি কুটিবাড়ি, গাড়াখালী, দক্ষিণ ভাদিয়ালী, ভাদিয়ালী তেতুলতলা, ভাদিয়ালী কালিবাড়ি, উত্তর ভাদিয়ালী ঘাট, চান্দা ঘাট, উত্তর ও দক্ষিণ বড়ালী ঘাট, হিজলদী ভদ্রশাল ও হিজলদী শিশুতলা ঘাট, সুলতানপুর ঘাট, গোয়ালপাড়া ঘাট, চান্দুড়িয়া ঘাট ও চান্দুড়িয়া গাড়ালবাড়ি ঘাট দিয়ে ভারতীয় পন্যগুলো পাচার হয়ে আসছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ