বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কবলে শবে বরাত-৩
সুনানে ইবনে মাজায় বর্ণিত হয়েছে : হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
কক্সবাজারে শানে রসালত সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ইনু-মেননদের মুক্তিযুদ্ধে কোন ধরনের ভূমিকা ছিলনা। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন। অথচ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মায়াকান্না করছেন। ৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা ইসলামী চেতনা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। ইসলামের দুষমনরা বিভ্রান্তিকর কথা বলে দেশে উত্তেজনা সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক ইহুদী-খ্রিষ্টান ও কাদিয়ানীদের দালালী করছে।
শেষনবী মুহাম্মদ সঃ প্রতি সারা বিশ্বের মুসলমানদের আনুগত্য ও তাঁর সুন্নাতের উপর ঐক্যবদ্ধ দেখে আন্তর্জাতিক ইহুদী-খ্রিষ্টান ও কাদিয়ানী গোষ্ঠী পাগল হয়েগেছে। তারা বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ঈমানদার মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। কক্সবাজারে দু'দিনব্যাপী শানে রেসালত সম্মেলনে বক্তারা একথা বলেন।
নবীজির সুন্নাতে মানুষের শারীরিক আত্মিক ও পরিবেশগত কল্যাণ নিহিত। দেড় হাজার বছর আগেই মহানবী সঃ মানব কল্যানের এই কথা বলে গেছেন। তিনি যত্রতত্র মলমূত্রত্যাগ নিষেধ করেছেন। গাছ লাগিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার কথা বলেছেন। নবীজির প্রত্যেক কাজ ও কথা বিজ্ঞান সম্মত। কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে শানে রসালত সম্মেলনের ১ম দিনে বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ড আ ফ ম খালিদ হোসেন একথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানী দার্শনিকরা বিশ্বনবীকে জানতে পেরে ইসলাম গ্রহন করেছেন। আর আমাদের দেশের কিছু অর্বাচিনরা মহানবীকে চিনতে পারলনা। মহানবী সঃ এর শানে মুসলমানরা জানমাল সব বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত। যারা মহানবী সঃ এর শানে বেয়াদবী করবে তাদের মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন পাশ করতে হবে। বাদ মাগরিব এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব আল্লামা মাহমোদুল হক।
ড. খলিদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন ২০ হাজার কাউমী মাদরাসার ২০ লাখ শিক্ষার্থীদের মুল্যায়ন করতে হবে। আর রাশেদ খান মেনন-ইনুরা বলে কাউমী মাদরাসা নাকি বিষবৃক্ষ! অথচ কাউমী মাদরাসা দেশের জন্য রহমত। মেনন-ইনুরা কাওমী মাদরাসা ও আল্লামা আহমদ শফির সাথে বেয়াদবী করেছেন। তাদেরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
তিনি বলেন, ইনু মেননদের মুক্তিযুদ্ধে কোন ধরনের ভূমিকা ছিলনা। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন। অথচ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মায়াকান্না করছেন। ৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা ইসলামী চেতনা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। ইসলামের দুষমনরা বিভ্রান্তিকর কথা বলে দেশে উত্তেজনা সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক ইহুদী-খ্রীষ্টান ও কাদিয়ানীদের দালালী করছে।
আল্লাহ রসুল সঃ এর শানে বয়াদবী করলে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে সংসদে নতুন আইন পাশের দাবী জানান ড.খালেদ হোসেন।
তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের মসজিদে নিরীহ মুসলমানদের রক্ত ঝরেছে। এই ঘটনা থেকে সেখানে ইসলামের বিজয় শুরু হবে।
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশে মহাসচীব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, কাদিয়ানি বিশ্বনবী মুহাম্মদ সঃ কে শেষ নবী মানেনা। তাই তারা মুসলিম হতে পারেনা। তারা কাফের। কাদিয়ানীদের রষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষনার দাবী জানান তিনি।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস দমনের জন্য আল্লাহ জিহাদ ফরজ করেছেন। জিহাদ আছে এবং থাকবে। জিহাদের সাথে তথাকথিত জঙ্গিবাদের কোন সম্পর্ক নেই। সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই জিহাদ করা ফরজ।
হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ইহুদী-খ্রীষ্টান ও কাদিয়ানীরা ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আল্লাহ প্রেমিক, রসুল প্রেমিক একজন মুসলমানও দেশে বেঁচে থাকতে তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হবেনা।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মুজিবুর রমান যুক্তিবা, মাওলানা নুরুল ইসলাম সাদেক, মাওলানা আব্দুস সালাম পাটওয়ারী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব ওসমানী, মাওলানা জাসিম উদ্দিন মিসবাহ, মাওলানা সরওয়ার আলম কুতুবী, মাওলানা এজাজুল করিম, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর ও মাওলানা সাইফুল ইসলাম সাঈফী প্রমূখ।
১ম দিনের সম্মেলনে বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, প্রবীন আলেমে দ্বীন মাওলানা মাসরুর আহমদ, মাওলানা আবুবকর ছিদ্দিক, জেলা হেফাজতের সম্পাদক মাওলানা ইয়াচিন হাবিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।