Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আসুন কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালিত করি

জমঈয়তে আহলে হাদীসের তাবলীগী মহাসম্মেলনে মেয়র সাঈদ খোকন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

আহলে হাদীসদের আসল পরিচয়, তারা কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে ইবাদত-বন্দেগী করে, নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা ইমামের অন্ধ অনুকরণ করে না। আহলে হাদীসদের একমাত্র অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)। আর এ মহাদেশে আহলে হাদীসদের সর্বপ্রাচীন সংগঠন জমঈয়তে আহলে হাদীস। আমার পূর্বপুরুষগণও এ সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। আমি আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করি, সকল মুসলিম কুরআন-সুন্নাহ্ মোতাবেক স্বীয় জীবন পরিচালিত করবেন, পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখবেন। আর যারা ইসলামের নামে জঙ্গি তৎপরতাসহ বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের দাওয়াহ্ ও তাবলীগী মহাসম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জমঈয়তের উপদেষ্টা আলহাজ্জ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আযহার উদ-দীন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি আলহাজ্জ আওলাদ হোসেন ও মুহাম্মদ রুহুল আমীন (সাবেক আইজিপি)।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও জমঈয়তের উপদেষ্টা কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ইসলাম পালনের ক্ষেত্রে এ প্রজন্মের মানুষ অনেক বেশি সচেতন। এখন তারা কারো অন্ধ অনুকরণ করে না, বরং কুরআন ও রাসূল (সা.)-এর হাদীস থেকে সত্য বিষয়টি উদ্ঘাটনের চেষ্টা করে। ফলে এ দেশে আহলে হাদীসদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর আহলে হাদীসদের মূল কর্মসূচি মানুষকে সত্যপথে আহ্বন জানানো।
সভাপতির ভাষণে জমঈয়ত সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ মোবারক আলী বলেন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনামলে চৌদ্দশ’ হিজরীর প্রথম দিকে ইংরেজদের পৃষ্ঠপোষকতায় কাদিয়ানী স¤প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটে। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী এ সম্প্রদায়ের প্রবক্তা যে খতমে নবুওয়াতকে অস্বীকার করে নিজেকে নবী দাবি করে। অথচ রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে প্রেরণের মধ্য দিয়ে নবূওয়াতের পরিসমাপ্তি ঘটানো হয়েছে। আর মুসলিম হওয়ার অন্যতম মৌল শর্ত খতমে নবুওয়াতে বিশ্বাস স্থাপন করা। যে সম্প্রদায়, বা ব্যক্তি মুহাম্মদ (সা.)-কে শেষ নাবী ও রাসূল হিসেবে অস্বীকার করবে সে বা তারা নিঃসন্দেহে কাফির এবং যে মুসলিম তাদের কাফির হওয়া নিয়ে সন্দেহ পোষণ করবে, সেও কাফির হিসেবে গণ্য হবে। দলমত নির্বিশেষে সকল উলামা এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। অতএব, বাংলাদেশ সরকারের কাছে আজকের এ মহাসম্মেলন থেকে দাবি উত্থাপন করছি যে, কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফির ঘোষণা করা হোক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সউদী আরবের ধর্মসচিব শাইখ আহমদ বিন ঈসা আল হাযেমী বলেন, এ উপমহাদেশের আহলে হাদীসগণ জমঈয়তে আহলে হাদীসের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হতে শিখেছে, সুতরাং ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে যে কোন মূল্যে ঐক্য অটুট রাখতে হবে। সালাফীদের মাঝে বিছিন্নতা কোনভাবেই কাম্য নয়। সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল শাইখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানীর পরিচালনায় এ সম্মেলনে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মদীনা মুনাউওয়ারার দা‘ঈ শাইখ ড. উসামা বিন আতায়া উসমান আহমাদ, সউদী আরবের যুলফি ইসলামিক সেন্টারের দা‘ঈ শাইখ হাশেম মাদানী- ভারত, জমঈয়ত উপদেষ্টা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. লোকমান হোসেন, সউদী আরবের আল আহ্সা ইসলামিক সেন্টারের দা‘ঈ শাইখ সাইফুদ্দীন বেলাল মাদানী এবং কেন্দ্রীয় জমঈয়তের নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ