Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বোকা সেজে ফাঁদ তৈরি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

হাতে কখনো ডলার, কখনো বা রিয়াল। টার্গেট ব্যক্তির কাছে গিয়ে না জানার ভান করে বলেন, এগুলো কোন দেশের টাকা? এরপর জানতে চান, কীভাবে বিদেশি মুদ্রাগুলো বাংলাদেশি টাকায় ভাঙ্গানো যাবে। এভাবে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতারণা করে আসা একটি চক্রের সাতজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন, আবু শেখ (৩৮), শাহিন মাতব্বর (৩৭), মহসিন মিয়া (৪৫), আবুল বাশার (৪০), কামরুল শেখ (৩৫), ইশারত মোল্লা (২৭) ও আব্দুর রহমান মোল্লা (৪০)। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ রিয়েল, ৩ হাজার ৮২২ টাকা ও ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। চক্রটি বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করতো। প্রতারকদের সবাই পেশায় রং মিস্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, প্রতারক চক্রটি কখনো বাসায় ঢুকে বয়স্ক ব্যক্তিদের টার্গেট করতো। কখনো আবার রাস্তায় দামি গাড়ির যাত্রীদেরও টার্গেট করতো। তারা রিয়েল দেখিয়ে কম মূূল্যে বিক্রির কথা বলে প্রলোভন দেখাতো। ব্যক্তি রাজি হলেই, টাকার বিনিময়ে উপরে কয়েকটি রিয়েল নোট আর ভেতরে কাগজ দিয়ে বানানো বান্ডেল হস্তান্তর করে কেটে পড়তো।
তিনি আরও বলেন, গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় যানজটে আটকে থাকা প্রাইভেটকারের যাত্রীরা এই চক্রের টার্গেট ছিল। তারা গাড়ির বাইরে থেকে রিয়েলের নোট দেখাতো এবং অনেক নোট আছে বলে জানাতো। এ সময় কম দামে কিনতে আগ্রহী সেজে প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যরা দর কষাকষি করতে আসতো। তখন টার্গেটকৃত ব্যক্তি কেনার ফাঁদে পা দিলে, টাকার বিনিময়ে রিয়েল ভর্তি ব্যাগ দিয়ে পুলিশ দেখে ফেলবে বলে দ্রæত কেটে পড়তো তারা। কিছু বুুঝে উঠার আগেই কাগজ বা কাপড় দিয়ে মোড়ানো ভুয়া বান্ডেলে প্রতারণার শিকার হতো টার্গেট ব্যক্তি। ইজতেমা ময়দান ও হজ্জ ক্যাম্পেও একই কৌশলে চক্রটি প্রতারণা চালিয়ে আসছিল।
তিনি আরো বলেন, আবু শেখ এই চক্রের মূল হোতা। তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি অভিনব পন্থায় প্রতারণা চালিয়ে আসছিল। তাদের টার্গেট ছিল মূলত সৌদি আরবগামী কিংবা হজযাত্রী। এরইমধ্যে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে প্রতারকরা। শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে। এমন আরও দুই-একটি চক্র রাজধানীতে সক্রিয় থাকতে পারে, তাদের বিষয়ে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ