রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নাটোরের সিংড়ায় নকিরন নেছা নামে এক বীরাঙ্গনার জমি ভুয়া দলিল করে, তার ছেলে আনোয়ার হোসেন আলীরাজকে ঘর-বাড়ি ভেঙে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়। উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের আগপাড়া শেরকোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে গত ৮ মার্চ সিংড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
আজিরন বেওয়া নামে এক মহিলার ২৯ শতাংশ জমির মধ্যে ১৯৫৭ সালে আজগর আলী ও তার স্ত্রী নকিরন নেছা ২০ শতাংশ জমি কিনে নেন। ১৯৯৩ সালের ১৬ জানুয়ারি আজগর আলী অবশিষ্ট ওই ৯ শতাংশ জমিও কিনে নেয়। ১৯৭৩ সালে নকিরন নেছা মারা গেলে আফছার আলী দাবি করে, নালিসী তপসিল ভুমির ২৫ শতাংশ নকিরন নেছার নিকট থেকে কিনে নিয়েছেন। এদিকে ১৯৯১ সালে আজগর আলী বাদী হয়ে সিংড়া সহকারী জজ আদালত নাটোর (সিংড়া কোটে) একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর ৭৭/৯১।
মামলায় আজগর আলী দাবি করে, আফছার আলী অন্য লোককে নকিরন নেছা বানিয়ে ভুয়া দলিল তৈরি করেছেন। তিনি আরও দাবি করে প্রতিপক্ষের দলিল সঠিক হলে ২৯ শতাংশের কাত ১৯ শতাংশ দক্ষিণাংশে বাটোয়ারা দাবি করে। ১৯৯৩ সালের ২৭ অক্টোবর আজগর আলী মারা গেলে, ছেলে আনোয়ার হোসেন আলীরাজ ও মেয়ে ময়নাকে মারপিটের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক আইনজীবীর যোগসাজসে মামলা এফিডেভিট করে নিয়ে ঘর-বাড়ি ভেঙে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়। আগপাড়া শেরকোল গ্রামের আব্দুল মজিদ মোল্লা, ইসমাইল হোসেন মৃধা, সাবেক ইউপি সদস্য আসমত আলী, শাহাজাহান আলী, রজব আলী ও রওশন আলী সরকারসহ ওই গ্রামের অনেকেই জানান, নকিরন নেছা ১৯৭১ সালে পাকবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পরে দেশ স্বাধীনের পর মারা যায়। আজগর আলীর ছেলে সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আলীরাজ বলেন, শুনেছি আমার মা একজন বীরাঙ্গনা ছিলেন। তবে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তার নাম আসেনি। দলিলপত্র না থাকায় এতদিন আমরা কাউকে কিছুই বলতে পারিনি।
এ বিষয়ে আফছার আলী বলেন, আনোয়ার জমির মালিক নয়। আমি প্রকৃত মালিকের নিকট থেকে ২৫ শতাংশ জমি রেজি. করে নিয়েছি। কত সালে রেজি. করেছেন, এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হোসেন ও গ্রাম্য মাতব্বর আবজাল সরকার জানান, আফছার আলীকে তার দলিল দেখানোর অনুরোধ করার পরও তিনি দলিল দেখাতে রাজি হয়নি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল ওয়াদুদ ক্ষতিগ্রস্থ ওই সাংবাদিকের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে ভবিষতে সুযোগ থাকলে অবশ্যই দেখা হবে। সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মনিরুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।