Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কিডনি দিবস পালিত : আক্রান্তদের মধ্যে নারী ও শিশুই বেশি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

দেশে কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এ রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় অধিকাংশ রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। অনেকে মাঝ পথেই চিকিৎসা বন্ধ করতে বাধ্য হন। এ রোগে আক্রান্তদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ^ কিডনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডা. মিলন হলে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন, কিডনি ফাউন্ডেশন ও ক্যাম্পস। ‘সুস্থ কিডনি, সবার জন্য-সর্বত্র’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল পালিত হয় বিশ^ কিডনি দিবস। রেনাল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ’র ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া, স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম, ক্যাম্পসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ, কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. হারুন আর রশিদ, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. মো. ইসতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সনাল ও মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ।
ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, জীবিত মানুষের কাছে কিডনি পাওয়া খুবই দুষ্কর। এর বিকল্প হিসেবে মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে কিডনি সংগ্রহ করা যেতে পারে। কিন্তু ধর্মীয় অনুশাসন ও মানসিকতা পরিবর্তন না হওয়ার কারণে এই কিডনি সংগ্রহ করারও বেশ জটিল। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে চাই সচেতনতা, প্রচার এবং মন মানসিকতার পরিবর্তন।
আসাদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে কিডনি হাসপাতাল ও চিকিৎসকের সংখ্যা এখনও অপ্রতুল। অথচ প্রতি বছর রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে কাজ করতে হবে। বর্তমানে যেসব প্রতিষ্ঠানে কিডনি সেবা দেয়া হচ্ছে, সেখানে চিকিৎসা সেবা আধুনিকায়নসহ আরও নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান চালু করা হবে। বক্তারা কিডনি রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে অলস জীবন যাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, ধুমপান, রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টরেল, বায়ু, পানি ও খাদ্যদূষণ, অসচেতনাকে উল্লেখ করেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি, ফ্রি চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিভিন্ন সংগঠন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ