পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এ রোগে আক্রান্তদের একসময় সম্পূর্ণ কিডনি বিকল হয়ে যায়। তখন ডায়ালাইসিস বা কিডনি সংযোজন ছাড়া বাঁচার উপায় থাকে না। এ দুটো চিকিৎসা পদ্ধতিই অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অথচ বিশ্বের অনেক দেশেই মানসম্মত কিডনি রোগ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। এর কারণ হচ্ছে অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব।
বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে বুধবার (১১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. শহীদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব তথ্য জানান। যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কিডনি ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন ও কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস)।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ রফিকুল আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর আছিয়া খানম, বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. কে বি এম হাদিউজ্জামান, সহ-সভাপতি প্রফেসর শামীম আহমেদ ও প্রফেসর নিজামউদ্দিন চৌধুরী, কিডনী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব প্রফেসর ডা. মহিবুর রহমান, ক্যাম্পসের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম এ সামাদ ও প্রফেসর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি প্রদাহ, মূত্র সংক্রমণ ও মূত্র প্রতিবন্ধকতা এ রোগ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এ ছাড়া দারিদ্র্য, লিঙ্গ-বৈষম্য, অশিক্ষা, কর্মক্ষেত্রের দুর্ঘটনা, বায়ু, পানি ও খাদ্য দূষণ সর্বোপরি অসচেতনতা এর রোগ বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। দেশের সব জায়গায় কিডনি রোগের চিকিৎসা সহজলভ্য করতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানও কাজ করছে। যেহেতু এ রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল, তাই এ ক্ষেত্রে সরকারের ভর্তুকির দাবি জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
তবে কিডনি সুস্থ রাখতে এবং কিডনি রোগ থেকে বাঁচতে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সুষম খাদ্যগ্রহণ ও ধূমপান পরিহার করার আহবান জানান তারা। তারা বলেন, খাদ্যে ভেজাল দূর করতে পারলে কিডনি রোগ অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশ্বে বর্তমানে ৮৫০ মিলিয়ন মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত ও ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষ আকস্মিক কিডনি রোগে মারা যায়। দেশে প্রায় ৪০ হাজার রোগী দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে ‘সুস্থ কিডনি, সর্বত্র সবার জন্য’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব কিডনি দিবস। মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার দিবসটি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পস, বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।