বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন আসলে দেশে যুদ্ধক্ষেত্র শুরু হয়। এটি একটি গনতান্ত্রিক দেশের জন্য কাম্য নহে। আমাদের দেশে নির্বাচন আসলেই যুদ্ধ অবস্থা আসে। সেখানে লোক থাকতে হবে। সেন্টার পাহারা দিতে হবে। নির্বাচন নিয়ে এরকম একটি পরিস্থিতি ও পরিবেশ তৈরী হয়। যেমনটি বিদেশী নির্বাচনে কখন দেখা যায়না। একদিন আমাদের দেশেও এমন পরিবেশ আসবে। অবশ্য এখনো সে সময় আসেনী। জাতীয় নির্বাচনের পর এই স্থানীয় নির্বাচনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সিইসি বলেন নির্বাচনে সংখ্যালুঘু ও প্রার্থীর এজেন্টরা যাতে বাধাঁ বিপত্তিতে না পড়ে তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা সে দিকটা গুরুত্ব দিয়ে খেয়াল রাখবেন।
তিনি আরো বলেন কেন্দ্রের ভেতর স্থান সংকুলন থাকায় আমরা ভোট কক্ষের ভেতর থেকে লাইভ টেলিকাস্ট করতে নিষেধ করি। কারণ এতে নির্বাচন পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটে, তবে চিত্র ধারণ করে কক্ষের বাহির থেকে তা করা যাবে। নির্বাচন কেন্দ্রেই সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও প্রার্থীদের প্রতিনিধির সামনেই ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন শুধু নির্বাচনের আয়োজন ও প্রেক্ষাপট তৈরী করে। কারা নির্বাচনে করবেন কারা করবেন না এটা সম্পূর্ণ তাদের স্বাধীনতা।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ সাড়ে বিকেল ৫টায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মতবিনিময় কালে এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রুকন উদ্দিন আহমদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুর রহমান, ৪৬ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আরিফুল হক সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকতা, গোয়েন্দাসংস্থার কর্মকর্তা, আনসার কর্মকর্তাসহ জেলার সবকটি উপজেলার নির্বাহি অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জবৃন্দ এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
নুরুল হুদা আইনশূংখলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন নির্বাচন নিয়ে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করা যাবে না। সকল বাহিনী আইনশৃংখলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। ভোটার ও প্রার্থীর নিরাপত্ত্বা নিশ্চিত করতে হবে। কোন প্রার্থী ও তার এজেন্টকে যেনো কেন্দ্র থেকে বাহির করার চেষ্টা না করা হয়। পরে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন ১০ তারিখের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। কারণ প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।
তিনি বলেন ১৯৮২ সাল থেকে উপজেলা নির্বাচন হয়ে আসছে। এটি ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন কিছু বিধি করে থাকে। ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ভোট গ্রহণ করে থাকেন। কোন কারণে ভোট গ্রহণ করা সম্ভব না হলে প্রিজাইটিং অফিসার রিটার্নিং অফিসারকে জানাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।