বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হলো। আমারা আশা করছি পর্যায়ক্রমে সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে। গতকাল (বুধবার) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, যেখানে প্রতিবছর স্কুলের নির্বাচন করছি। সেখানে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হওয়াটাও জরুরি। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজেদের প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে। যেহেতু এটি একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, আমরা সেটি কারও ওপর চাপিয়ে দিতে চাই না। আমরা চাই সুন্দর পরিবেশে, সুষ্ঠুভাবে সব প্রতিষ্ঠানে এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চর্চা হোক।
কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যেহেতু ডাকসু নির্বাচন হয়েছে আমি আশা করি বাকিগুলোও হবে। আমরা চাই সব ক্ষেত্রে এ নির্বাচন হোক। হাজার স্কুলে কোটির বেশি ভোটার সুন্দরভাবে ভোট দিচ্ছে। আমাদের সব জায়গায় করা উচিত। আমাদের দিক থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এবার ১৬ হাজার ২৪৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও ৬ হাজার ৭১৬টি দাখিল মাদরাসার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৬০টি পদের জন্য ২ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ জন এবং মাদরাসা পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৭২৮টি পদের জন্য ৯৩ হাজার ৭১০ জন শিক্ষার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবে। মোট ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৮টি পদের বিপরীতে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৮৩৭ জন শিক্ষার্থী এ নির্বাচনে অংশ নেবে। তিনি জানান, নির্বাচনে মোট ছাত্রীর সংখ্যা ৫৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আজ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে কেবলমাত্র মাধ্যমিক পর্যায়ের (৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন আয়োজন করা হবে। তবে অন্য কোনও পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ এবং আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসা এ নির্বাচনের আওতায় আসবে না।
কোচিং বাণিজ্য প্রসঙ্গে ডা. দীপু মনি বলেন, অনেক রকম কোচিং সেন্টার আছে, যারা আইএলটিএস ভর্তি কোচিং করায় তাদের নিয়ে সমস্যা নেই। দুর্বল শিক্ষার্থী, যার আরেকটু সহযোগিতা দরকার, স্কুলের পড়াশোনার বাইরেও দরকার, সেই শিক্ষার্থী সেখানে (কোচিংয়ে) যেতে পারে। যদি কেউ বিদ্যালয়ে পড়ান না, তিনি যদি তার বাসায় কাউকে পড়ান বা স্কুলেও বাড়তি ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়, এর মধ্যেও দোষের কিছু নেই। তবে সমস্যা হচ্ছে শিক্ষক তার ক্লাসে শিক্ষাদান যতখানি করানোর কথা বা সময় দেওয়ার কথা, তা না দিয়ে তিনি যখন বাইরে কোচিং করান এবং শিক্ষার্থীদের তার কোচিংয়ে যেতে বাধ্য করান, কেচিংয়ে না গেলে কখনও কখনও ফেল করানোর কথাও বলেন, সেটি খারাপ। এদের চিহ্নিত করে তা বন্ধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।