বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর শ্যামপুরে কবির হোসেন (২৫) নামে একজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ১০ বছর পর অভিযুক্ত কামাল হোসেন ওরফে টিকটিকি কামালকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে ২০০৯ সালের ১৭ জুন শ্যামপুরের বাবুর ট্রাকের গ্যারেজে নিয়ে কবিরকে গুলি করে হত্যা করে কামাল। এরপর থেকেই সে পলাতক ছিল।
পিবিআই সূত্র জানায়, কবিরকে হত্যার পর তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। থানা ও ডিবি পুলিশের পর মামলাটি তদন্তভার গ্রহণ করে পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর)। তদন্ত শেষে হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ পলাতক আসামী কামালকে তারা গ্রেফতার করে।
সূত্র আরও জানায়, ২০০৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর একটি বিদেশি পিস্তল ও রিভলবারসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল সে। তখন তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় একটি অস্ত্র মামলা হয়। পরবর্তীতে বিচার শেষে আদালত তাকে ১০ বছরের সাঁজা দেন। ওই মামলায় কামাল ৪ বৎসর ৫ মাস জেল খেটে উচ্চতর আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়। এদিকে, জামিনে মুক্তির ১ মাসের মধ্যেই এলাকায় প্রভাব বিস্তারসহ সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির পথ সহজ করতে প্রতিপক্ষের কবির হোসেনকে হত্যা করে সে।
পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, কবির হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন ছিল।
তিনি কদমতলী থানাধীন ২১ নং রজ্জব আলী সরদার রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মহিষাটেকির ধানীখোলার আব্দুল জলিলের ছেলে কবির। তিনি বলেন, একটি কালো মোটরসাইকেল করে কবির হোসেনকে অজ্ঞাত তিনজন ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। পরে তারা কবিরের ঘাড়ে ও ডান হাতের গোড়ায় গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছিল। গ্রেফতার কামাল হোসেন ও তার সহযোগীরা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালসহ আশপাশ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করে আসছে।
জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআইকে কামাল জানায়, এলাকায় প্রভাব বিস্তারসহ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজিতে প্রতিপক্ষ ছিল কবির। এছাড়া চাঁদাবাজির টাকার ভাগ নিয়ে টিকটিকি কামাল, রাসেল ওরফে রাজাকার রাসেল, লিটন ও জসিম উদ্দিনের সঙ্গে তার তর্ক হয়। ঘটনার দিন লিটন কবিরকে টেনে গ্যারেজের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানেই কবির তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।