দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
এ কে এম ফজলুর রহমান মুন্শী
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের সৌভাগ্য
তাকওয়া ও পরহেজগারী অর্জনকারী লোকগণ তার সান্নিধ্য ও সাহায্য-সহানুভূতির দ্বারা সর্বদাই সমুন্নত থাকেন! কেননা, যার সাথে আল্লাহ আছেন তাকে কে পরাভূত করতে পারে? এ প্রসঙ্গে আল-কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে :
১। জেনে রেখ, নিঃসন্দেহে আল্লাহপাক মুত্তাকীদের সাথে আছেন। (সূরা বাকারাহ : রুকু-২৪)
২। অবশ্যই জেনে রেখ যে, আল্লাহপাক মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন। (সূরা তাওবাহ : রুকু-৫)
মকবুল হওয়ার মানদ-
যারা তাকওয়া এবং পরহেজগারী অর্জন করেছেন তারা অবশ্যই মকবুল হওয়ার মানদ-ের অধিকারী। কেননা, প্রতিটি কাজ সহ¯্র উদ্দেশ্য এবং অগণিত লক্ষ্য মাত্রাকে সামনে রেখে নিষ্পন্ন করা যায়। কিন্তু এসব কাজকর্মের মাঝে আল্লাহপাক ওইসব চেষ্টা ও সাধনাকে কবুল করেন যা তাকওয়া এবং পরহেজগারীর ভিত্তিতে পরিসমাপ্ত হয়। আল-কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আল্লাহপাক তাকওয়া সন্তুত কর্মকা-কেই কবুল করে থাকেন।’ অর্থাৎ যারা মুত্তাকী ও পরহেজগার তাদের কাজকর্মকে আল্লাহপাক কবুল করেন। এসব কারণে দুনিয়ার বুকে তাদের কাজকর্ম স্থিতিশীল ও দীর্ঘ স্থায়িত্ব লাভে সক্ষম হয় এবং প্রত্যেক প্রকার আন্তরিক আকর্ষণ ও অভিনিবেশের মাঝে পাওয়া যায়। অনুরূপ অবস্থা আখেরাতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
মুত্তাকীদের পরিচয়
আমরা জানি তাকওয়া এবং পরহেজগারীই হচ্ছে ইসলামী শিক্ষার মূল লক্ষ্য এবং এর মাঝেই নিহিত হচ্ছে যাবতীয় ইসলামী শিক্ষার প্রাণশক্তি। দীন-দুনিয়ার যাবতীয় নিয়ামত মুত্তাকীদের জন্য নিবেদিত। তাই এ কথা অবশ্যই জানা দরকার যে, মুত্তাকীদের পরিচয় কি? এবং তাদের স্বরূপই বা কি? কোরআনুল কারীমে এর যথার্থ উত্তরও প্রদান করেছে। কোরআনুল কারীমের সূরা যুমারে সংক্ষিপ্তভাবে এর প্রত্যুত্তর দিতে গিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘এবং যে ব্যক্তি সত্যসহ আগমন করেছে এবং সত্য বলে মেনে নিয়েছে তারাই হচ্ছে মুত্তাকী ও পরহেজগার। তাদের জন্য রয়েছে তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাশিত বস্তুসমূহ, এই পরিণাম শুধু কেবল পুণ্যকর্মশীলদের জন্য নির্ধারিত। (যুমার : রুকু-৪) মোটকথা মুত্তাকী বলতে তাদেরকেই বুঝায় যারা নিজেদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এবং সব কর্মকা-ে সততা ও সত্যবাদিতা অবলম্বনে তৎপর থাকে এবং তারা চিরস্থায়ী ও অবিনশ্বর সত্যকে সার্বিকভাবে সত্য বলে গ্রহণ করে এবং তারা কোনো কাজের বাহ্যিক উপকারিতা ত্বরিৎ ফল লাভ এবং মাল ও দৌলত এবং প্রভাব-প্রতিপত্তির প্রত্যাশা করেন না বরং সততা ও সত্যবান দাতার ওপর সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখেন। বাহ্যিক ক্ষতি ও লোকসানের আশঙ্কা থাকলেও এই সত্যাশ্রয়ী লোকগণ সততা ও সত্যবাদিতার অধিষ্ঠান হতে এক বিন্দুও এদিক-সেদিক অবস্থান গ্রহণ করে না। এই অবিচল ও দৃঢ়চিত্ত লোকদের সামগ্রিক পরিচয় কোরআনুল কারীমের সূরা বাকারা হতে বিকৃত আছে। যেমন : ‘প্রকৃতপক্ষে পুণ্যকর্ম হচ্ছে এই, যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছে এবং আখেরাতের দিনের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং ফেরেশতা, কিতাব ও আম্বিয়াদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং মাল ও সম্পদের প্রতি মহব্বত ও আকর্ষণ থাকা সত্ত্বেও তা আত্মীয়-পরিজন, এতিম-মিসকিন, পথিক-মুসাফির, ঝাঞ্চাকারী ও দাস মুক্তির কাজে ব্যয় করেছে এবং যারা নামাজ কায়েম করেছে এবং যাকাত আদায় করেছে এবং যখনই অঙ্গীকার করেছে তখনই তা পালন করেছে এবং যারা শোকে-দুঃখে এবং বিপদকালে ধৈর্যধারণ করেছে তারাই হচ্ছে সত্যবাদী এবং তারাই মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত।’
উপরোক্ত আয়াতে কারীমায় মুত্তাকীদের শুধু সাধারণ পরিচয়ই তুলে ধরা হয়নি, বরং প্রতিটি চিহ্নকেই পৃথকভাবে পরিচিত করা হয়েছে এবং এ কথাও বলে দেয়া হয়েছে যে, এসব লোক আল্লাহর ইঙ্গিতে সত্যবাদীরূপে পরিচিত এবং তারাই মুত্তাকীদের অন্তগর্ত!
তাকওয়ার হাকিকত
তাকওয়া ও পরহেজগারী এমন একটি শক্তি যা প্রকৃতই অতুলনীয়। আরবি ভাষায় তাকওয়া শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, বেঁচে থাকা, পরিহার করা এবং দূরে থাকা। কিন্তু আল-কোরআনের ব্যবহারিক ভাষায় তাকওয়া বলতে অন্তরের সেই অবস্থা ও পরিবেশকে বুঝায় যা আল্লাহতায়ালাকে সর্বদা হাজের এবং নাজের হওয়ার বিশ্বাস সৃষ্টি করে এবং অন্তরে ভালো এবং মন্দের তারতম্য নির্ণয়ের সাথে সাথে ভালোর প্রতি আকর্ষণ বর্ধিত করে এবং মন্দের প্রতি বিতৃষ্ণা ও ঘৃণাকে প্রকট করে তুলে। অপর কথায় আমরা এ কথা বলতে পারি যে, তাকওয়া হচ্ছে অন্তরের অনুভূতি ও অন্বেষার নাম, যার প্রতিফলনের মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক কাজ করার তীব্র বাসনা পয়দা হয় এবং একই সঙ্গে বিরুদ্ধবাদিতার প্রতি ঘৃণা ও অবজ্ঞার ভাবের উদয় হয়। মোটকথা, তাকওয়া মূলত অন্তরের ওই অবস্থার নাম, যা কোরআনুল-কারীমের এই আয়াত দ্বারা সুস্পষ্ট বোঝা যায় যা আরকানে হজের বিবরণের সাথে সম্পৃক্ত। ইরশাদ হচ্ছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শনগুলোর সম্মান করে, তা অন্তরের পরহেজগারীর মাধ্যমেই সাধিত হয়।’ (সূরা হজ রুকু-৪)
এই আয়াত দ্বারা সুস্পষ্ট বোঝা যায় যে, তাকওয়ার আসল যোগসূত্র অন্তরের সাথে গ্রথিত! এই তাকওয়া অন্তরের নেতিবাচক অবস্থার পরিবর্তে ইতিবাচক বা প্রত্যয়ী মনোবৃত্তির উদয় করে। একই সাথে মঙ্গল কর্মানুষ্ঠানের প্রতি অন্তরের অনুপ্রেরণাকে সঞ্জীবিত করে তোলে। তাছাড়া আল্লাহর নিদর্শনাবলীর সম্মান ও শ্রদ্ধার দ্বারা অন্তরকে পরিপ্লুত করে। অপর এক আয়াতে কারিমায় ইরশাদ হচ্ছে, ‘নিশ্চয়ই যারা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সামনে নি¤œস্বরে কথা বলে, তারাই ওই ব্যক্তি যাদের অন্তরকে আল্লাহপাক তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করেছেন, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা এবং বৃহত্তর পুরস্কার।’ (সূরা হুজুরাত : রুকু-১)
এই আয়াতেও তাকওয়ার কেন্দ্র বলতে অন্তরকেই নির্ধারিত করা হয়েছে। এবং বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অনুভূতি তাকওয়ার মাধ্যমেই পয়দা হয়। অপর একটি আয়াতে তাকওয়াক স্বভাবসুলভ ইলহামরূপে চিত্রিত করা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে, “সুতরাং প্রত্যক নফসের মাঝে দুষ্কর্ম ও তাকওয়াকে ইলহাম করে দেয়া হয়েছে।” (সূরা আল- শামস : রুকু-১)।
দুষ্কর্ম বলতে তো স্পষ্টতাই বুঝা যায় যে, তাহলো নাফরমানী ও অপরাধের মূল। ঠিক তেমনিই তাকওয়া যাবতীয় নেক কাজের বুনিয়াদ এবং মূলকা-। এই উভয় স্বভাব প্রত্যেক বান্দাহকে সৃষ্টির শুভলগ্ন হতেই প্রদান করা হয়েছে। এখন বান্দাহ নিজের আমল ও চেষ্টার মাধ্যমে একটিকে পরিত্যাগ করে এবং অপরটিকে গ্রহণ করে। মোটকথা এই উভয় অবস্থাই ইলহামে রাব্বানীর অন্তর্ভুক্ত। একথা সকলেরই জানা আছে যে, ইলহামে রাব্বানীর কেন্দ্র হচ্ছে অন্তর। তাই তাকওয়ার মূল মোকাম হলো দিল বা অন্তর।
তাকওয়া শব্দটি অন্তরের এই অবস্থাকে যেমন বুঝায়, তেমনি এই অবস্থার প্রভাব, প্রতিক্রিয়া ও প্রতিফলের ওপরও ব্যবহৃত হয়। সাহাবায়ে কেরাম কাফেরদের শক্তিমত্তার জবাব প্রদানে এবং তাদের বিরুদ্ধে বদলা গ্রহণের পরিপূর্ণ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ‘হুদায়বিয়ার’ সন্ধি চুক্তিকে কবুল করে নিয়েছিলেন। তাই আল্লাহপাক তাদের এই শুভ ইচ্ছাকে তাকওয়া বলে উল্লেখ করেছেন। ইরশাদ হচ্ছেÑ “যখন কাফেররা অন্তরে ষড়যন্ত্র পাকালো মূর্খতা ও অজ্ঞতার ষড়যন্ত্র, তখন আল্লাহপাক স্বীয় শান্তি ও নিরাপত্তাকে প্রিয় রাসূলের ওপর এবং মুমিনগণের ওপর নাযিল করেন, এবং তাদের তাকওয়ার কথার সাথে সম্পৃক্ত করে দেন, এবং তারাই ছিল এর উপযুক্ত ও হকদার।” (সূরা ফাতহ : রুকু-৪)
এখানে যুদ্ধ, রক্তপাত হতে বেঁচে থাকা এবং খানায়ে কাবার আদব সম্মান বহাল রাখা এবং কাফের কুরাঈশদের কর্মকা-ের প্রতি অবলোকন না করাকে তাকওয়া বলা হয়েছে। আর এক আয়াতে শত্রুর সাথে অঙ্গীকার পালন করা এবং যথাসম্ভব যুদ্ধ পরিহার করাকে তাকওয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহপাক এই শ্রেণীর মুক্তাকীদের সাথে নিজের ভালোবাসার স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। ইরশাদ হয়েছে :
(১)“সুতরাং তোমরা তাদের সাথে একটা নির্দিষ্টি সময় পর্যন্ত অঙ্গীকার পূরণ কর। আল্লাহপাক মুত্তাকীদেরকে অবশ্যই ভালোবাসেন।” (সূরা তাওবাহ : রুকু-১)
(২) “ সুতরাং তারা যতক্ষণ তোমাদের সাথে সঠিকভাবে আচার-আচরণ করবে তোমরাও ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাথে সদ্ব্যবহার বজায় রাখ, অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালবাসেন।” (সূরা তাওবাহ : রুকু-২)
যেভাবে মানুষের অপকর্ম, কুশিক্ষা, অসৎ সঙ্গ এবং অমঙ্গলকর কর্মকা- পারস্পরিক ক্ষতিকর প্রভাবকে বিস্তৃত করে, তেমনি মঙ্গল ও সৎকর্মকা-ের দ্বারা উত্তম পরিণাম ফলের আশা এবং আকাক্সক্ষা বিস্তৃতি সাধন করে ও মঙ্গলকামীর আন্তরিক অবস্থা প্রতিনিয়ত সদানুষ্ঠান সমূহের প্রতি অনুরক্তি প্রকাশ করে। তাদের প্রশংসা করে মহান আল্লাহপাক আল-কোরআনে ইরশাদ করেছেন, “যারা হেদায়েত প্রাপ্ত হয়েছে, আল্লাহপাক তাদের আত্মিক পবিত্রতাকে পরিবর্ধিত করেন।” (সূরা মুহাম্মদ : রুকু-২)
এর দ্বারা সুস্পষ্ট বুঝা যায় যে, তাকওয়া হচ্ছে এক প্রকার ইতিবাচক এবং সম্পূরক অবস্থা যা মানুষকে আল্লাহপাক দান করেন। এর প্রতিক্রিয়া এই দাঁড়ায় যে, মুত্তাকী লোক হেদায়েত হতে অধিক হেদায়েতের দিকে এবং সহজাত স্বভাবের পবিত্রতা হতে পবিত্রতর পরিম-লের দিকে ধাবিত হয়। তাকওয়া ও পরহেজগারীর এই সুস্পষ্ট হাকীকতকে রাসূলুল্লাহ (সা.) একবার সমবেত সাহাবীদেরকে লক্ষ্য করে বিশ্লেষণ করেছেন এবং ইরশাদ করেছেন যে, “তাকওয়া এখানেই।” (সহীহ মুসলীম) এ কথা বলে তিনি নিজের অন্তরের দিকে ইশারা করেছেন। এর দ্বারা নিঃসন্দেহে প্রতিয়মান হয় যে, তাকওয়া ও পরহেজগারী হচ্ছে অন্তরের পবিত্রতম এবং উন্নত অবস্থার নাম। যা সকল প্রকার মঙ্গল কর্মসমূহকে উজ্জীবিত করে তুলে। আর এই পরহেজগারী ধর্মের প্রাণশক্তি ও ধর্মীয় জীবনের অন্তরাত্ম বলে স্বীকৃতি। এ কারণেই আল-কোরআনে বর্ণিত যাবতীয় হেদায়েত ও পথনির্দেশনার মূল উদ্দেশ্য তাকওয়ার ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর এই তাকওয়ার মধ্যেই মঙ্গলকর নৈতিক শিক্ষার প্রতিফলন নিহিত আছে।
ইসলামের সমুন্নত মানদ-
ইসলামী জিন্দেগীর মাঝে তাকওয়া ও পরহেজগারীকে যে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে তার প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া হচ্ছে এই যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে বংশ কৌলিন্য, রং-রূপ, বিত্ত-বিভব, বংশ পরিক্রমা এবং প্রভাব-প্রতিপত্তিসুলভ যাবতীয় মানবিক ক্ষণভঙ্গুর মর্যাদার পরিচায়ক উপকরণসমূহকে সমূলে উৎপাটিত করে কেবলমাত্র একটি মানদ-ের ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যার নাম হচ্ছে তাকওয়া। সমাজে প্রচলিত মান ও মর্যাদা নির্ণয়কে, উপকরণসমূহকে নিষ্প্রভ ও নির্লিপ্ত করে দিয়ে দীন ও ঈমানের মূল প্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার দান করেছেন এজন্য মুসলিম মিল্লাতের শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা তাকওয়ার ওপর নির্ভরশীল। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহপাক উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন, “আমি তোমাদের বিভিন্ন গোত্রে এবং বংশে এজন্য বিভক্ত করেছি যেন তোমরা পরস্পর পরস্পরকে চিনতে পার। আর জেনে রেখ আল্লাহপাকের নিকট সবচেয়ে বেশি সম্মানিত হচ্ছে ওই ব্যক্তি যে তোমাদের মাঝে অধিক মুত্তাকী ও পরহেজগার।” (সূরা হুজুরাত : রুকু-২) এই ঘোষণাকে রাসূলুল্লাহ (সা.) শুধুমাত্র দুটো শব্দের দ্বারা বিবৃত করেছেন, ‘বুজুর্গী ও শরাফত’ যা তাকওয়ারই নাম মাত্র। এ কারণেই তিনি বিদায় হজের সাধারণ ঘোষণায় সমুচ্চ কণ্ঠে ঘোষণা করে ছিলেন, “আরববাসীদের-অনারবদের ওপর এবং সেতাঙ্গদের-কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর কোনই শ্রেষ্ঠত্ব নেই; বরং শ্রেষ্ঠত্ব ও বুজুর্গী তাকওয়ার ওপর নির্ভরশীল।” (সহীহ বুখারি ও সহীদ মুসলিম)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।