পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাঠপর্যায়ে ভূমি রাজস্ব প্রশাসনে সেবা বৃদ্ধি ও জনবান্ধব করতে সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) পদে নিয়োগ-বদলিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ দিকে কোনো উপজেলায় পূর্ণকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) না থাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সে বিধান রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভূমি সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী ইনকিলাবকে বলেন, জনগণের কাক্সিক্ষত সেবা প্রদান, মাঠ প্রশাসনের গতিশীলতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুষ্ঠু জনবল ব্যবস্থাপনায় মাঠপর্যায়ে ভূমি রাজস্ব প্রশাসনে নামজারিসহ সর্বোপরি ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা বিনির্মাণে এটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রতি নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। সচিব বলেন, ১৪৮টি সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ১৩৬ জন ইউএনও পদে বদলি ও ফিটলিস্ট করা হয়েছে। এখনো ২১০টি পদ শূন্য রয়েছে। আমরা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) শূন্য পদ পূরণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি।
বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রতি নির্দেশনা দিয়ে সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। ভূমি সচিব স্বাক্ষরিত এ পরিপত্রে বলা হয়েছে, মাঠপর্যায়ে ভূমি রাজস্ব প্রশাসনে নামজারি, জমা ভাগ ও জমা একত্রীকরণ এবং রেকর্ড সংশোধন, সরকারি খাসজমি ও অকৃষি জমি ব্যবস্থাপনা, সায়রাত মহাল ব্যবস্থাপনা, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা পরিচালনা ও নিষ্পত্তি তথা সর্বোপরি ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
প্রায়ই দেখা যায় পদোন্নতি, বদলি, শিক্ষা ছুটি ইত্যাদি কারণে উপজেলা বা রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পদ শূন্য থাকে। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বহুমাত্রিক দায়িত্ব পালন করেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা হিসেবে ইউএনওদের পক্ষে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিসে বাস্তবভিত্তিক কারণেই যথেষ্ট সময় দেয়া সম্ভব হয় না। ফলে জনগণ যথাসময়ে তাদের প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছেন না। অথচ স্বচ্ছ, দক্ষ ও জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভিশন। বলা হয়- মহানগরী, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক আয়তন, অবস্থান ইত্যাদি দিক বিবেচনা করলে একেকটি উপজেলা বা সার্কেলের গুরুত্ব একেক প্রকৃতির। এই প্রেক্ষাপটে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে নিয়োগ, বদলি, পদায়নের ক্ষেত্রে বিভাগীয় কমিশনারদের কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
পরিপত্রে বলা হয়, ভূমিসংক্রান্ত কাজের পরিমাণ, ব্যাপকতা, বহুমাত্রিকতা, জনস¤পৃক্ততা, অধিগ্রহণ, ভূমি হুকুমদখলসহ রাষ্ট্রীয় উন্নয়নকাজ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে পদায়ন, নিয়োগ ও বদলির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে। জনসম্পৃক্ততা বিবেচনা করে সব মহানগরীর রাজস্ব সার্কেল বা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। এসিল্যান্ড হিসেবে পদায়নের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিকভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এমন অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সব উপজেলা সদর বা পৌর এলাকাভুক্ত উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদায়ন করতে হবে। অপেক্ষাকৃত বেশি ইউনিয়ন পরিষদ, জনসংখ্যা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ইত্যাদি উপজেলার পদ পূরণ করতে হবে। নিকটবর্তী যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত অথচ আয়তন ও জনসংখ্যা কম এমন উপজেলার জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত পার্শ্ববর্তী উপজেলার দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। বিভাগীয় কমিশনার তাকে আর্থিক ক্ষমতা দিতে পারবেন বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়, অপেক্ষাকৃত দুর্গম, প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক কারণে অন্য উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন, অধিকতর দূরত্ব এমন উপজেলার জনগণের সেবা প্রাপ্তির বিষয় বিবেচনা করে একক দায়িত্ব দিতে হবে। কোনো উপজেলায় পূর্ণকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা কাউকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে পারেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে একই জেলার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। বহুবিধ ও বহুমাত্রিক কাজ থাকায় মহানগরী ও উপজেলা সদরে নিয়োজিত সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহায়তা দিতে হবে। অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে তাদেরকে নিয়োগ বা দায়িত্ব প্রদানে নিরুৎসাহিত করতে হবে। সেই সঙ্গে অপেক্ষাকৃত জটিল এবং কাজের পরিধি ও ব্যাপকতা থাকায় প্রথমবারে মহানগরীতে পদায়ন না করা। কিছু সময়ের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সততার বিচারে মহানগরীতে পদায়ন করতে হবে বলে পরিপত্রে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।