Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

রাজশাহী অঞ্চলে গমের শীষে সোনালি দোলা

রেজাউল করিম রাজু | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রাজশাহী তথা লালমাটির বরেন্দ্র অঞ্চলজুড়ে বোরোর সবুজ ক্ষেতের সাথে দোল খাচ্ছে সোনালী গমের শীষ। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবার গমের আবাদ ভাল হয়েছে। এমনটি বলছেন আবাদকারী কৃষক আর সংশ্লিষ্ট কৃষি বিশেষজ্ঞরা। বরেন্দ্র অঞ্চল ঘোরার সময় মাঠের পর মাঠজুড়ে গমের শীষের দোলা নজর এড়ায়না।
কদিন পরেই স্বপ্নের গম ঘরে উঠবে। কৃষক একবার ক্ষেত আরেক বার আকাশপানে চেয়ে আছে। আল্লাহ আল্লাহ করে ভালই ভালই আর দশ পনেরটা দিন পার হলেই হয়। এবার আবহাওয়া অস্বাভাবিক ঝড়ো বাতাস আর ভারী বর্ষণ তাদের মনে শঙ্কা জাগাচ্ছে মাঠের গম নিয়ে। যারা আগাম আবাদ করেছেন তাদের কেউ কেউ কাটাও শুরু করেছেন।
কৃষকরা বলছেন চলতি রবি মওসুমের শুরু থেকে অনুকুল আবহাওয়া থাকায় তারা শুরুতে বীজ বপন করেছেন সহজেই। সেই বীজ এখন পরিপূর্ণ ফলবতী হয়েছে। এখন আর কোন গম ক্ষেতের শীষ বেরুতে বাকী নেই। কৃষকরা বলছেন ধানের চেয়ে গম আবাদে লাভ বেশী। সেচ খরচ কম। পাশপাশি দশ কেজি ধান থেকে সাত কেজি চাল পাওয়া যায়। অন্যদিকে দশ কেজি গম থেকে প্রায়ই দশ কেজি আটা আসে।
রাজশাহী অঞ্চলিক গম গবেষনা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ইলিয়াস হোসেন বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে দিন দিন গমের আবাদ বাড়ছে। সেচ কম লাগে বলে বরেন্দ্র অঞ্চলে ব্যাপক ভাবে গমের আবাদ হয়েছে। আমরাও গবেষণা করে নতুন নতুন সব গমের জাত উদ্ভাবন করেছি। যেগুলোতে রোগ বালাই কম, কিছুটা খরা সহিষ্ণু ও ফলনের দিক দিয়ে উচ্চ ফলন শীল। গম গবেষনা কেন্দ্র ২৬ প্রজাতির গম বীজ উদ্ভাবন করেছে। সম্প্রতি ছয় জাতের বীজ কৃষকের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিজয়, শতাব্দি, প্রদীপ ও বারী গম-২৬। তাছাড়া খাদ্য মানের দিক দিয়ে চালের চেয়ে গমের পুষ্টিমান বেশী।
গম গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, দেশে গমের চাহিদা চল্লিশ থেকে পয়তাল্লিশ লাখ মে.টনের মত। দিন দিন বাড়ছে চাহিদা। অন্যদিকে দেশে মোট গমের উৎপাদনের পরিমাণ দশলাখ টনের কিছু বেশী। দেশের মোট গমের উৎপাদনের পয়ত্রিশ ভাগ হয় রাজশাহী বিভাগে। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, সেচ কম লাগায় তারা কৃষকদের বেশী গম চাষের জন্য উৎসাহিত করছেন। বরেন্দ্রের পঞ্চাশ হাজার হেক্টর উচু জমিতে ভাল গম আবাদের সম্ভাবনা রয়েছে। তারাসহ কৃষি বিভাগ, গম গবেষনা কেন্দ্র মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ