Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘৩৩ ধরণের দুর্নীতি হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন হিসাব রক্ষণ কর্মর্কার কার্যালয়ে ৩৩টি দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকের গঠিত প্রাতিষ্ঠানিক টিমের রিপোর্টে মোটা দাগে এসব উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তা প্রতিরোধে ২১ দফা সুপারিশ করেছে দুদক। গতকাল সোমবার দুদক কমিশনার ড মোঃ মোজাম্মেল হক খান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এর নিকট কমিশনের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়সমূহ-এর দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক টিমের অনুসন্ধানী এবং পর্যবেক্ষণমূলক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এতে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসম দুদক কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক টিমসমূহের কার্যক্রম সমন্বিত উদ্যোগরই একটি অংশ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন হিসাব রক্ষণ কর্মর্কার কার্যালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক টিমের রিপোর্টে মোটা দাগে দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তা নিরসণে সুপারিশ রয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দুদকের এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি কমকর্তা-কর্মচরীকে দুর্নীতিমুক্ত থাকতে হবে।
দুর্নীতির উৎস: কর্মকর্তা কর্মচারীর বদলিজনিত কারণে নূতন কর্মস্থলে যোগদান করার পর হিসাব রক্ষণ দপ্তর কর্তৃক শেষ বেতনপত্র নতুন কর্মস্থলে প্রেরণের বেলায় বিলম্ব ঘটে। কর্ম অবসানে অবসরে গমনকালে সর্বশেষ হিসাব রক্ষণ দপ্তর প্রত্যাশিত শেষ বেতনপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে অনাকাঙ্খিত বিলম্ব ঘটে থাকে; কর্মকর্তাদের সার্ভিস স্টেটমেন্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে হয়রানি মুক্ত সেবা প্রদান করা হয় না; সার্ভিস বুক ভেরিফিকেশনের বেলায় অনিয়মিতভাবে অর্থ আদায় করা হয়ে থাকে; সিলেকশন গ্রেড স্কেলে বেতন নির্ধারণের বেলায় এবং বেতন নির্ধারণের পর এরিয়ার বিল দাখিল করা হলে অনিয়মিতভাবে আর্থিক সুবিধা আদায় করা হয়ে থাকে এবং পে-ফিক্সেশনের বেলায় অনিয়মিতভাবে আর্থিক সুবিধা প্রদানের দাবী করা হয়।
এছাড়াও ভবিষ্যৎ তহবিল হিসাব খোলার সময় অনিয়মিতভাবে অর্থ আদায় করা হয়ে থাকে; জিপিএফ অগ্রিমের অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে অনিয়মিতভাবে আর্থিক সুবিধা আদায় করা হয়। কর্মচারীদের জিপিএফ হিসাব হতে চূড়ান্ত অর্থ পরিশোধের বেলায়ও অনিয়মিতভাবে আর্থিক সুুবিধার দাবী করা হয়ে থাকে; সরকারি বিভিন্ন অগ্রিম যথা-গৃহ নির্মাণ, গাড়ি, মোটর সাইকেল, কম্পিউটার ইত্যাদির বিলের অর্থ প্রাপ্তিতে অনিয়মিত আর্থিক সুবিধা প্রদান করতে হয়; সরকারি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকসহ কর্মচারীদের পেনশন সংক্রান্ত আনুতোষিক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনিয়মিত অর্থ প্রদান করতে হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ