বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোটা বিশ্বের মুসলিম স¤প্রদায়ের এই ক্রান্তিলগ্নে কুরআন সুন্নাহর মানদন্ডে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নাই। সারাবিশ্বে মুসলিম নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার একমাত্র কারণ আমরা কুরআন ও সুন্নাহর আদর্শ থেকে সরে যাওয়া। আমাদের মধ্যে এত ভাগ বিভক্তির একটি কারণ আমরা মুসলমান পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনসাফের সাথে ন্যায় বিচার থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছি।
এক আল্লাহ এক নবীর উম্মত হয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে একমাত্র সংবিধান মহাগ্রন্থ আল-কুরআন ও নূর নবীজীর রেখে যাওয়া সুন্নাহর আদর্শের অনুসারী হলে আমরা বিচ্ছিন্ন হওয়ার কোন সুযোগ থাকতো না।
সারা বিশ্বের মুসলমান হতাশায় জীবন অতিক্রম করছে। বাংলাদেশের চারদিকে পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের মুসলমানদের অবস্থা খুবই সূচনীয় কিন্তু আল্লাহর অশেষ দয়ায় এবং আল্লাহর ওলীদের তাওয়াজ্জুহ বেষ্টনীর মাধ্যমে এই বাংলাদেশের মুসলমান এখনো শান্তিতে আছে। তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে এই দেশে ততদিন পর্যন্ত কাফের বেঈমানদের কালো থাবা বসাতে পারবেনা যতদিন পর্যন্ত আমরা আল্লাহর ওলীদের অনুসরণ করে চলতে পারবো। কারণ এইদেশে কোন নবী রাসূলগনের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার প্রসার ঘটেনি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে আল্লাহর ওলীদের আদর্শ থেকে দূরে সরিয়ে সরলমনা মানুষের ঈমানকে নষ্ট করার সুদূর প্রসারি চক্রান্ত করে যাচ্ছে মূলত তাদেরকে মুসলমান বলার কোন সুযোগ নাই।
এদেরকে কোনভাবেই এই দেশে ইসলাম ও মুসলমানদের অবদানকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। পীর সাহেব ফান্দাউকী আরও বলেন খাতমে নুবুয়্যাত অস্বীকার কারী কাদিয়ানী স¤প্রদায় আজ সারাদেশকে উত্তাল করে ফেলেছে। মনে রাখতে হবে এই দেশের ইসলাম প্রিয় মানুষ ঈমান রক্ষার জন্য বুকে তাজা রক্ত ঢেলে দিতে একটু পিলপা হবেনা। বর্তমান কাদিয়ানী স¤প্রদায় সরকারের সাথে ইসলাম ও মুসলমানকে বিচ্ছিন্ন করে পশ্চিমাদের রাজ কায়েম করতে চায়।
শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানদের এই দেশে খতমে নবুয়ত ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে রাশেদ খান মেনন সংসদে যে বক্তব্য দিয়ে মুসলমানদের অস্তিত্বে আঘাত হেনেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি নিজেও একজন মুসলমান কিন্তু কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয় ভাবে অমুসলিম ঘোষণা হয়নি। তাই আপনার কাছে আকুল আবেদন কাদিয়ানী স¤প্রদায়কে অনতিবিলম্বে অমুসলমান ঘোষণা করুন নতুবা কোন মুসলমান আর ঘরে বসে থাকবেনা।
ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের বার্ষিক দুই দিন ব্যাপী ইছালে ছাওয়াব মাহফিলের প্রথম দিন ও দ্বিতীয় দিন তরিকার তালিম প্রদান পূর্বক দরবারের বর্তমান পীর আলহাজ মাওলানা মুফতি সৈয়দ সালেহ আহমাদ মামুন আল-হোসাইনী আগত হাজার হাজার ভক্ত মুরিদদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। গত শুক্রবার বাদ জুমা পবিত্র ফাতেহা শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথমদিন মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগরের বর্তমান সাংসদ বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি, বতমান উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার মনির। মাহফিলে প্রথম দিন আলোচনা করেন, আলোচনা করেন মুফতি ড. আনোয়ার হোসাইন সাইফী, হাফেজ তুফাজ্জল হোসাইন ভৈরবী, মুফতি জহিরুল ইসলাম ফরিদী, মাওলানা কামাল উদ্দিন আনসারী, মাওলানা সৈয়দ জাকারিয়া আহমাদ আল-হোসাইনী, মুফতি মোযযাম্মিল হক মাছুমী, ২য় দিন আলোচনা করবেন মুফতি ওসমান গনি ছালেহী, মাওলানা মোশাররফ হোসেন হেলালী ও বাংলাদেশের হক্বানী দরবারের পীর মাশায়েখগন।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামিয়াতুল মুদার্রিসিনের সহ-সভাপতি ও মৌকারা দরবার শরীফের পীর আলহাজ্ব মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুদ্দীন ওয়ালীউল্লাহী, দরবারের পীরজাদা আলহাজ মাওলানা মুফতি সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমাদ আল-হোসাইনী, পীরজাদা আলহাজ মাওলানা সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক আল-হোসাইনী, পীরজাদা আলহাজ মাওলানা সৈয়দ বাকের মোস্তফা আল-হোসাইনী, মৌকারা দরবারের শাহ সাহেব মাওলানা শাহ মাসুদ প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।