পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিডনাইট নির্বাচনের আসল সত্যটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মুখ ফসকেই বলে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্যান্ডোরার বাক্স থেকে এখন আসল ঘটনাগুলো বের হতে শুরু করেছে। থলের বিড়ালকে আর বেশিদিন আটকে রাখতে পারলেন না সিইসি কে এম নুরুল হুদা। আসলে সত্যকে ঢেকে রাখলেও তাতে লাভ হয় না। সত্য কুহেলিকার আচ্ছাদন ভেদ করে বের হবেই। গতকাল (শনিবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া দস্যুতারই নামান্তর। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সেই দস্যুতারই আচরণ করেছেন সিইসি। ইভিএম চালু হলে নাকি ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তির ঝুঁকি কমবে-এমন কথা বলেছেন সিইসি। জনগণের হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কমিশনে ইভিএম মেশিন প্রকল্প অপরিহার্যতা প্রতিপাদন করার জন্যই কি সিইসি ২৯ ডিসেম্বর রাতে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন? একটি প্রকল্পের যথার্থতা প্রমাণের জন্যই আপনি (সিইসি) কি সারাদেশের ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নিলেন? আপনার ব্রেইন চাইল্ড প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের আমানতকে আপনি কেড়ে নিলেন। আজ আপনার এবং আপনার সহচরদের মুখ দিয়েই আসল সত্যটি প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। অথচ আপনি ৩০ ডিসেম্বরের রাত থেকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের ঝুড়ি ঝুড়ি গালগল্প শুনিয়েছেন মানুষকে।
সিইসিকে মিডনাইট নির্বাচনের হোতা মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আদর্শগত শূণ্যতার কারণে আপনি এতবড় অন্যায়টি করেছেন জনগণের বিরুদ্ধে। এটি অবৈধ সরকারের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার নীতি বাস্তবায়ন করতেই আপনি মহাভোট কেলেঙ্কারীর মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করলেন। আপনার এই বক্তব্যটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে থাকলো জাতির কাছে। আপনি ২৯ ডিসেম্বর রাতে স্বচ্ছ জালিয়াতি ও মহাকারচুপির ভোট সেরে ফেলেছেন। তবে মনে রাখবেন-পাপ কখনও বাপকেও ছাড়ে না। আমজনতার কাছে আপনাকে জবাবদিহি করতেই হবে।
সরকার খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশ এক ব্যতিক্রমী দুঃশাসনের মধ্যে নিপতিত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধ্বজাধারীরা মুক্তিযুদ্ধের বীর সেক্টর কমান্ডারের সহধর্মিনী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারের আলোবাতাসহীন অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দী করে রেখেছে। আর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে জাতীয় সংসদে অনুগত বিরোধী দলীয় নেতা বানানো হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার রিক্রুটমেন্টের দায়িত্বে নিয়োজিত ডিসি-কে করা হয়েছে নানাভাবে পুরস্কৃত। তাকে কখনও মন্ত্রী বা কখনও এমপি বানানো হয়েছে। রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের স্ত্রীকে প্রতিহিংসাবশত: কারাগারে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেও শুধুমাত্র ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের আত্মীয় হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন মন্ত্রী ও এখনও এমপি করা হয়েছে একাধিক জনকে। অথচ বীর সেক্টর কমান্ডারের সহধর্মিনী বেগম জিয়াকে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার অধিকারটুকুও কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাঁকে কারাগারে যাপন করতে হচ্ছে দূর্বিষহ জীবন। ক্ষমতাসীনদের জন্য আধুনিক চিকিৎসার সকল আয়োজনই মূহুর্তের মধ্যে সম্পন্ন হয়। খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হলেও তাঁকে দিনরাত কাটাতে হয় কীট-পতঙ্গে ভরা ধুলাধুসরিত অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। দেশের ভিতরে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে তাঁকে।
তিনি বলেন, আওয়ামী রাজনীতিতে মনন বিবেচনা নেই, ন্যায়বিচারবোধ নেই, নির্মাণ ও সৃষ্টি নেই, আছে শুধু অবিরল সন্ত্রাস. দখল, জাল-জালিয়াতি ও রক্তপাত, আর উঞ্ছবৃত্তির আধিপত্য।
ধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, পঁচাত্তরের পরে জিয়াউর রহমান খলনায়ক। ইতিহাস কিন্তু মানুষের মনেই রচিত হচ্ছে। আপনার হাতে বন্দুক আছে বলে আপনি জোর করে ইতিহাস রচনা করবেন। ওই ইতিহাস একদিন মানুষ টুকরো টুকরো করে বাতাসে ছুড়ে ফেলে দেবে। তখন যে ব্যক্তিটি মানুষের কাছে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে হৃদয়ের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে রক্তের শ্বেত-লৌহ কনিকার মধ্যে স্বাধীনতার অভয় মন্ত্র যিনি শুনালেন তিনি খলনায়ক!
ঢাকা বারের নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নানাভাবে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে একরতফাভাবে ঢাকা জেলা বার সমিতির এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনেও মিডনাইট ভোটের পদ্ধতি অবলম্বন করছে। সাধারণ জনগণের মতো বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাও এখন বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত। প্রহসনের পর প্রহসন এবং তামাশার নানা অভিনবত্ব অবলোকন করছে দেশবাসী। আমরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির এই নির্বাচন প্রত্যাখান করছি।
তিনি বলেন, গত পরশুদিন ঢাকা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম দফা সাত দিন আগে হয়েছে। জালভোট প্রদানের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রথম দফা ও দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে সাত দিনের ব্যবধান করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফার দিন সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিএনপির প্যানেলের কমিশনার যিনি ভোট গণনার দায়িত্বে ছিলেন তাকে প্রচন্ড মারধর করা হয়েছে। তাছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে তিনি একজন কট্টর আওয়ামীপন্থি আইনজীবী।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।