পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশকে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে হয়। সুশীল সমাজের অনেকেই সমালোচনা করছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাকি নিরাপরাধদের ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করছে। আমি স্পষ্ট করে বলছি, ক্রসফায়ারের নামে কোনো বাহিনী কাউকে হত্যা করছে না। গতকাল শনিবার দুপুরে তেজগাঁওয়ের বিজি প্রেস মাঠে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পরিচালিত মাদকবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি আরো বলেন, মাদক কারবারিদের ধরতে গেলেই তারা অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করছে। সাধারণ মানুষের যেমন আত্মরক্ষার অধিকার আছে, আমাদের বাহিনীরও আছে। যারাই সারেন্ডার করবেন, মাদকের ব্যবসা ছাড়বে, তাদের শেষ সুযোগ দেয়া হবে। নইলে জেলে যেতে হবে। আর অস্ত্রের ঝনঝনানি যদি দেখাতে চান তাহলে কী পরিণতি হতে পারে তা আপনারাই জানেন।
স্বরাষ্ট্র বলেন, বিদেশে দেখেন যেখানেই মাদকের ব্যবসা সেখানে কী পরিমাণ অস্ত্রের ব্যবসাও হচ্ছে। আমরা বলেছি, আইনী সহযোগীতা করবো, সারেন্ডার করেন, মুচলেকা দেন। আমি বিজিবিকে নির্দেশনা দিয়েছি কোনোভাবে সীমান্ত দিয়ে যেন মাদক না ঢোকে। কোস্টগার্ডকে বলেছি উপকূলে নজরদারি রাখতে। এরপরেও মাদক আসছে। আমরা মাদক তৈরি করি না, তবুও মাদক আসছে। মাদক আমাদের যে কী ক্ষতি করছি তা ঘরে ঘরে জানতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে হবে। ইয়াং গ্রুপ সীসা বারে যায়। হুক্কা টানে। আগুনে ইয়াবা গুড়া করে টানছে। সেজন্য আমরা সীসাবারও নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
তিনি বলেন, আমাদের কারাগারে ৩৫ হাজার ধারণ ক্ষমতা। অথচ আছে ৯৫ হাজার কয়েদি। এই কয়েদিদের অধিকাংশই মাদক সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার। কঠোরতার কারণেই আজ মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারিদের জায়গা কারাগারে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু বলেন, যুব সমাজ ছাত্র সমাজ দৃঢ় প্রত্যয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। আজ যুব সমাজের বড় অংশ মাদকাসক্ত। তাদের জন্য আমরা কি করতে পেরেছি? আমাদের সন্তানরা যেন মাদকাসক্ত না হয়, মাদক নেয় কিনা খোঁজ রাখা, খেয়াল রাখা।
শামসুল হক টুকু আরো বলেন, রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করি দেশের জন্য, মানুষের জন্য। মাদক বিরোধী অবস্থান নিয়েও আমাদের সকল রাজনীতিবিদের কাজ করতে হবে। মাদকমুক্ত নের্তৃৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীমুক্ত নের্র্তৃৃত্ব যদি প্রতিষ্ঠা করতে পারি তাহলে মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ তা অনেকটা সফল হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এখন আর ঠুটো জগন্নাথ নেই। ১৭ হাজার জনবলের অধিদফতরকে ৩২ হাজার ২২২ জন জনবলে পরিণত করা হচ্ছে। আগে কখনো পায়ে হেঁটেও মাদকবিরোধী অভিযানে যেতো কর্মকর্তারা। এখন প্রত্যেক জেলায় কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ি দেয়া হয়েছে। যে কারণে কাজে গতি ফিরেছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মোসাদ্দেক মো. আবুল কালাম, কাউন্সিলর মুন্সি কামরুজ্জামান কাজল, মনো চিকিৎসক মোহিত কামাল ও মানসের অধ্যাপক অরুপ রতন চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।