Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নারীর অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশের নারীরা সবক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে। নারীদের এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শিশু একাডেমিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত ‘ব্যাংকার-এসএমই নারী উদ্যোক্তা সমাবেশ ও পণ্য প্রদর্শনী মেলা-২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের মেয়েরা আজকে সর্বোচ্চ আদালতে আছে। আমাদের মেয়েরা সশস্ত্র বাহিনীতে আছে। প্যারাট্রুপার হিসেবে আছেন। ট্রেন চালক আছেন। ওসি আছে। ডিসি আছে। ইউএনও আছে। এসপি আছে। কোথায় নেই বলেন? ‘মেজর জেনারেল আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আছেন। রাষ্ট্রদূত আছেন। সচিব আছেন। সকল ক্ষেত্রে আজকে নারী আছে। আমরা যে এগিয়েছি সেটা খুবই দৃশ্যমান। আমাদের এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে হবে’ বলেন দীপু মনি। নারী উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তারা (নারী উদ্যোক্তা) তো মাস শেষে বেতন পাওয়ার চাকরি করছেন না। তারা নিজেরা উদ্যোক্তা এবং আরও নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করছেন। দিপু মনি বলেন, অনেকে আছেন তৈরি পোশাকের কাজ করছেন। কেউ এমবোটারির, কেউ হস্তশিল্পের কাজ করছেন। কৃষি পণ্য উৎপাদন করছেন, বিপনন করছেন। ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন করা উদ্যোক্তাও আছেন। এমন অনেক ক্ষেত্রেও আছেন যেগুলা আমরা চিন্তায় করি না। তিনি বলেন, শুধু নারী নয়, পুরুষদেরকেও চাকরির চিন্তা থেকে সরে এসে নিজেই নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন এবং অন্যকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেবেন।
নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা দুইটি জায়গা থেকে হয় উলে­খ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি কন্যা শিশুকে আমরা সবকিছুতে না বলি। তুমি জোরে হেসো না, তুমি মেয়ে। তুমি জোরে দৌড়াবে না, তুমি মেয়ে। তুমি জোরে কথা বলবে না, তুমি মেয়ে। ‘এই চিন্তাগুলো একটি মেয়ের মনের চারপাশে একটি শক্ত দেয়াল তৈরি করে দেয়। সেটা ভেঙে বেরনা তার সব থেকে বড় যুদ্ধ। যে মেয়ে একবার সেই দেয়াল ভাঙতে পারে, তাকে ঠেকাবার সাধ্য কারও নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক’র নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুর রহিম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রী ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান এবং এসোসিয়েশন অব ব্যাকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, আমাদের অর্থনীতিকে রফতানিমুখী করতে হবে। আমরা এখন আমদানিমুখী অর্থনীতিতে আছে। রফতানিমুখী অর্থনীতির জন্য ম্যানুফ্যাকচারিং করতে হবে। ম্যানুফ্যাকচারিং উন্নয়ণ হলেই আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান হবে।
তিনি বলেন, ১০ হাজারের ওপরে ব্যাংকের ব্রাঞ্চ আছে। প্রতিটি ব্রাঞ্চকে দায়িত্ব দেয়া আছে বছরে তারা তিনজন নারীকে প্রশিক্ষণ দেবে। সেই তিনজনের মধ্যে অন্তত্য একজনকে তারা উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সবরকম সহায়তা করবে। আমাদের সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে এ কথা আমি বলতে পারবো না। কারণ নারী উদ্যোক্তা তৈরির বিষয়ে আমাদের মধ্যে এখনো কিছু সংকোচ রয়েছে। ফজলে কবির বলেন, ২০১০ সালে সিএসএমই নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। সেটা ২০১৮ সালে হয়েছে ৫ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০১০ থেকে ২০১৮ এই নয় বছরে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চারগুণের বেশি। এছাড়া ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল এই নয় বছরে নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে মোট ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৩৩ হাজার ২৩১ কোটি টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ