Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝিনাইদহে ইফার ফিল্ড অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

ইসলামী ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার (এফও) মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারী ফান্ড তছরুপ, চুরি, প্রতারণা, দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। শৈলকুপা থেকে পাঠানো একটি অভিযোগ পত্রের তদন্ত করতে গিয়ে তৌহিদুরের সীমাহীন দুর্নীতির তথ্য পেয়েছে ইসলামী ফাউন্ডেশনের এক সদস্য বিশিষ্ট গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রশাসন-১ শাখার সাবেক সহকারী পরিচালক আইয়ুব হোসেন। এ ঘটনায় বিভাগীয় মামলা হয়েছে। মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. হাবিবুর রহমান সাক্ষরিত ৩৬৩ নং স্মারক সুত্রে জানা গেছে, জেলা কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার (এফও) মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান ২০১৬ সালে শৈলকুপার নিজ ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় ১৩ জন শিক্ষক নিয়োগ করেন। এর মধ্যে ৫ জনই তার আত্মীয়-স্বজন। অধিকাংশ কেন্দ্রের মান ভাল না। তৌহিদুর রহমান ফাজিলপুর জামে মসজিদের প্রাকপ্রাথমিকে খালাতো ভাই নুর মোহাম্মদ ও মহেশপুর জামে মসজিদ ও মক্তবে আপন ফুফাতো ভাইকে নিয়োগ দিয়ে স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেন। ২০১৬ সালে আরজিনা খাতুন নামে এক শিক্ষক মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের প্রাক প্রাথমিক কেন্দ্র থেকে সেচ্ছায় অবসর নিলে এফও তৌহিদুর জাল জোচ্চুরির আশ্রয় নিয়ে ওই শিক্ষিকার নামে ভুয়া চেক তৈরী করে তার আপন বড় বোন কামরুন নাহার কনাকে প্রদান করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোন রিসোর্ট সেন্টার পরিদর্শন না করেই মাসে ১২ দিনের টিএডিএ বিল ও মোটরসাইকেলের জালানী বাবদ তৌহিদুর সাড়ে ৫ বছরে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তার এসব দুর্নীতির কারণে ইসলামী ফাউন্ডেশন চাকরি বিধিমালা ১৯৯৮ এর ৩৯ ক, খ এবং ৩৯ চ বিধিতে দোষি সাব্যস্ত করে ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও ব্যক্তিগত কোন শুনানীর প্রত্যাশা করেন কিনা তা জানাতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ফিল্ড অফিসার (এফও) মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান নিজেই দোষ স্বীকার করেছেন। এদিকে ইসলামী ফাউন্ডেশনের শৈলকুপার তমালতলা সাধারণ রিসোর্ট সেন্টারের লাইব্রেরিয়ান পদে এইচএসসি পরীক্ষার সনদ জাল করে তৌহিদুর রহমান তার বড় ভাই আসাদুজ্জামানকে চাকরি দিয়েছেন। ইসলামি ফাউন্ডেশনের হেড অফিসের সহকারী পরিচালক আলমান হোসেন তদন্ত করে এসবের তথ্য পেয়েছেন। ঝিনাইদহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের ডিডি আব্দুল হামিদ এই দুর্নীতিবাজকে বাঁচানোর জন্য বিশেষ মিশন নিয়ে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে ডিডি আব্দুল হামিদ এ খবর অস্বীকার করে বলেন, হেড অফিস থেকে তদন্ত করে ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার (এফও) মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। এর একটা কপি আমি পেয়েছি। তিনি বলেন সাধারণ রিসোর্ট সেন্টারের নিয়োগকর্তা জেলা প্রশাসক। কোন সেন্টারে দুর্নীতি বা জাল সনদে চাকরি করার তথ্য পাওয়া গেছে আমি কেবল হেড অফিসকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জানাতে পারি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ