Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাহালমের ঘটনায় দুদকের দায় নির্ণয় করবেন আদালত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৯, ১২:৪৬ এএম

টাঙ্গাইলের জাহালমকে ২৬ মামলায় ভুল আসামি করার ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায় কতটুকু সেটা নির্ণয় করবেন আদালত বলে মন্তব্য করেছেন তাদের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। তবে দুদক দাবি করেছে, জাহালমের ঘটনায় তাদের দায় নেই মন্তব্য করে দায়মুক্তির ক্ষেত্রে তাদের আইনের ৩১ ধারাকে সামনে আনতে চায় দুদক। আজ বুধবার এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
দুদকের আইনজীবীর মতে, ব্যাংকগুলোর দেয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে অভিযোগপত্র দিয়েছিলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের দেয়া তথ্য-উপাত্ত আমলে না নেয়ার এখতিয়ারও দুদকের নেই। এ বিষয়ে ঘটনার একটি হলফনামা বুধবার আদালতে উপস্থাপন করা হবে। জাহালমের জামিন আদেশের পর গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুদকের আইনজীবী জাহালমের ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য সময় দেন হাইকোর্ট।
খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রথম অভিযোগপত্র দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংকের মতো একটি সরকারি ব্যাংক যখন আমাকে কিছু তথ্য-উপাত্ত পাঠাবে অবশ্যই সেটা আমাকে আমলে নিতে হবে। সেটার ভেলিডিটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠানো দুদকের কোনো আইনগত এখতিয়ার নেই। ব্যাংকের মাধ্যমেই তথ্য-উপাত্ত পেয়ে আমরা অভিযোগপত্র দাখিল করেছি। ব্যাংকের অফিসিয়ালসরাই তাকে আইডেন্টিফাই করেছে। আমরা সে কথাগুলো এফিডেবিট ইন ফ্যাক্টসে দাখিল করেছি। আশা করি কাল শুনানি হবে। তিনি বলেন, তার আগে ব্যাংকগুলোকে পক্ষভূক্ত করতে যে আবেদন, সেটি আগে শুনানি করতে চাইছি। কারণ এখানে ব্যাংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ পারসন। আমরা চাই ব্যাংকগুলো এসে তাদের কথা বলুক। এ ঘটনায় দুদকের দায় নিয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নে খুরশীদ আলম খান বলেন, বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক না। আপনারা যেহেতু জিজ্ঞেস করছেন তাই বলছি, এ ঘটনায় দুদকের দায় কতটুকু, কিংবা অমার দায় আদৌ আছে কিনা সেটা আদালত নির্ণয় করবেন। কারণ আমি পাবলিক ডকুমেন্টের ভিত্তিতে সরল বিশ্বাসে কাজ করেছি।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে একটি দৈনিকে ৩৩ মামলায় ভুল আসামি জেলে স্যার, আমি জাহালম, সালেক না শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টরা হাজিরের পর হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ