Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রিন্সিপাল থাকার পরও প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি

মিরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বিধি অনুয়ায়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান হচ্ছে প্রিন্সিপাল। আর এর পরের পদ হচ্ছে সহকারি প্রধান শিক্ষক। স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রধান শিক্ষকের কোনো পদ নেই। কিন্তুরাজধানীর মিরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রিন্সিপাল থাকার পরও বিধি লঙ্ঘন করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে গভর্নিং বডির কোনো বৈঠকও ডাকা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক এবং অভিভাবকরা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ জমা দেন।
মাউশি অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর মো. আবদুল মান্নান বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্কুল অ্যান্ড কলেজ যদি হয় তাহলে প্রধান শিক্ষক পাওয়ার কথা নয়।
মাউশিতে শিক্ষক-অভিভাবকদের দেয়া আবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিনের পুরোনো মাধ্যমিক পর্যায়ের এই প্রতিষ্ঠানটিতে ২০০৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শাখা খোলা হয়। ২০১০ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠানটিকে স্কুল অ্যান্ড কলেজ হিসেবে অনুমোদন দেয়। ২০১৭ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষক এ বি এম আবদুছ ছালাম ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু সব বিধিবিধান ভঙ্গ করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির জন্য প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, স্কুল-কলেজে সহকারি শিক্ষক ও লেকচারার পদে বর্তমানে নিয়োগ দেয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ফলে এসব পদে নিয়োগে গভর্নিং বডির ক্ষমতা নেই। কিন্তু সহকারি প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল নিয়োগের ক্ষমতা এখনও গভর্নিং বডির হাতে। তারাই মূলত বড় অংকের লেনদেনের বিনিময়ে বিধি ভঙ্গ করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ইতোমধ্যে রশিদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কথাবার্তা পাকা করা হয়েছে। মাউশি অধিদপ্তরের প্রতিনিধি হিসেবে শের-ই-বাংলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পেতেও চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা যায়, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের মেয়াদ চলতি বছরেই শেষ হবে। আর এরপর যাতে প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব দেওয়া যায় সেজন্যই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ১৪ জন লেকচারার রয়েছে। এ অবস্থায় বিধি ভঙ্গ করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিলে প্রতিষ্ঠানটিতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে, ব্যহত হবে শিক্ষা কার্যক্রম।
প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল এ বি এম আবদুছ ছালাম বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারটি গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত। এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে আমি এই মুহূর্তে অপারগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ