Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীতে পরিত্যক্ত বাড়ি সাড়ে ৬ হাজার

সংসদে মন্ত্রীর তথ্য

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, রাজধানী ঢাকায় পরিত্যক্ত বাড়ির সংখ্যা ৬ হাজার ৪০৯টি। এসব বাড়িগুলো শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং ডিমান্ড নোট হোল্ডারদের অনুক‚লে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার টেবিলে উত্থাপিত হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত বাড়ির মধ্যে কয়েকটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বরাদ্দ প্রাপক ও ডিমান্ড নোট হোল্ডারদের অনুক‚লে বিক্রয় করা হয়েছে। কয়েকটি বাড়ি মালিকদের অনুক‚লে অবমুক্ত করা হয়েছে। র, আ, ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় ২০০৩-২০১৯ সাল পর্যন্ত ৩, ৫, ৭, ৭.৫ ও ১০ কাঠা আয়তনের মোট ২৪ হাজার ৬৯৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওই প্লটগুলো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও সমদর্যাদা সম্পন্ন বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সরকারি চাকরিজীবী, সাংত্বশাসিত সংস্থার চাকরিজীবী, সশস্ত্রবাহিনী, ব্যবসায়ী ও শিল্পতি, বেসরকারি চাকরিজীবী, শিল্প-সাহিত্যিক ও ক্রীড়াবিদ এবং বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনকারী রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ক্যাটগরিতে মূল অধিবাসী, ক্ষতিগ্রস্ত এবং ১৩/এ ধারা অনুযায়ী সংরক্ষিত ক্যাটাগরিতে বরাদ্দ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পূবাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় কম-বেশি ১৫ হাজার জনকে চ‚ড়ান্তভাবে প্লট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় বাকি প্লট এখনো বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, চলতি বছরের মধ্যে সবাইকে প্লট বুঝিয়ে দেওয়া হবে। রাজউকের বিভিন্ন প্রকল্পে স্বজনদের অনুক‚লে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে, ২০০৮ সালের পর রাজউকের বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে তা কেস টু কেস বিশ্লেষন করে সমাধার করা হচ্ছে। তবে, ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে স্ত্রী কর্মজীবী ও টিআইএস ধারী হলে উভয়ই প্লট বরাদ্দ পেতে পারেন।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে রাজউক কর্তৃক প্রাথমিকভাবে ৩২১টি ভবন ঝুঁকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এসব ভবনগুলো ভেঙে ফেলার দায়িত্ব বর্তায়। ২০১৬ সালের জরিপে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা একই হয়। এগুলোর মধ্যে ২৫টি ভেঙে ফেলা হয়েছে। আরো ২৮টি ভবন ভেঙে মালিকরা নতুন ভবন নির্মাণ করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ