Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হল সংসদে প্রতিদ্বন্ধিকে সরাতে ছাত্রলীগ নেতার জালিয়াতি!

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:৪৮ এএম

হল সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হতে জালিয়াতির আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। আসন্ন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম মিলন খান। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ সমর্থিত প্যানেল থেকে সমাজসেবা সম্পাদক পদপ্রার্থী। অভিযোগ আছে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হতে একই পদ থেকে স্বতন্ত্র পদে নির্বাচনে অংশ নেয়া স্বতন্ত্রপ্রার্থী শাকিলুর ইসলামের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে নিজ দলের অনুসারী এক কর্মীকে দিয়ে শাকিলের নামে ‘ভূয়া’ প্রার্থীতা প্রত্যাহারের দরখাস্ত পাঠান। ফলে চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ওই প্রতিদ্বন্ধি। পরে হল প্রশাসনের তৎপরতায় প্রার্থীতা ফিরে পান তিনি। শাকিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও হলে স্বতন্ত্র সমাজসেবা পদপ্রার্থী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহিন খান তার অনুসারি আবদুল্লাহ ইমন নামে সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে দিয়ে শাকিলের নাম দিয়ে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। ফলে চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ে যান শাকিল। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাকিল বলেন, প্রাথমিক তালিকায় আমার নাম প্রকাশের পর আমি হল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাই এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর হলে আসি। পরে আমার নাম না থাকায় আমি হল প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে আমি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি বলে আমাকে জানানো হয়। পরে শাকিলের অভিযোগের ফলে রবিবার রাতেই ভূয়া দরখাস্ত যাচাই বাচাই শুরু করে হল কর্তৃপক্ষ। দরখাস্তে অসঙ্গতি প্রমাণিত হওয়ায় প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেয়া হয় শাকিলের। অভিযুক্ত মুহিন খান এ বিষয়ে তার জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্ট প্রফেসর মাহাবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, ভূয়া দরখাস্তকারীর জীবন বৃত্তান্ত আমাদের কাছে আছে। আমরা বিষয়টা খোঁজ নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ