Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারায়ণগঞ্জ সদরের ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ হাইকোর্টের

ইয়াবা উদ্ধারের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

প্রায় ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের মামলার আসামিদের জবানবন্দিতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি কামরুল ইসলামের নাম উঠে আসায় তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশ মহাপরিদর্শক ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ মাসের মধ্যে ওই মামলার তদন্ত শেষ করে তদন্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগপত্র দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

গতকাল সোমবার আদালতের তলবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আজাদ হাইকোর্টে হাজির হলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ। আসাদুজ্জামানের ছিলেন সুরজিৎ ভট্টাচার্য্য। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এএসআই আলম সরোয়ার্দী রুবেলকে গত বছর ৭ মার্চ ৪৯ হাজার ইয়াবাসহ আটক করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

ওই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হওয়ার পর পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামানসহ কয়েক জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওসি কামরুল ইসলামের নাম উঠে আসে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। গ্রেফতার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওসির নাম আসার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আটক পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামানের জামিন শুনানির সময় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসে। ওসিকে কেন এ মামলায় আসামি করা হয়নি এবং কেন তদন্ত শেষ হয়নি, সেই ব্যাখ্যা জানতে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির মহেদী মাকসুদকে তলব করে হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মেহেদী মাকসুদ আদালতে হাজির হয়ে বলেন, এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আজাদকে।

হাইকোর্ট তখন আজাদকে ৪ মার্চ হাজির হতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী সোমবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আজাদ আদালতে হাজির হন। আদালত শুনানি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে ১ মাসের মধ্যে মামলাটির তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন এবং ওসি কামরুল ইসলামকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন। পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামানকে জামিন না দিয়ে তার আবেদনটিও নিষ্পত্তি করে দেন হাইকোর্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ