Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে বন্য প্রাণি আশংকাজনকভাবে কমছে-পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বনভূমি হ্রাস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বন্যপ্রাণির সংখ্যা আশংকাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি তিনি জনসংখ্যাবৃদ্ধি, নগরায়ণ, বন্যপ্রাণি শিকার ও পাচার, বন্যপ্রাণির অবৈধ ব্যবসাকেও এর জন্য দায়ি করেন। বন্যপ্রাণি সংরক্ষণের মধ্য দিয়েই পরিবেশের সুরক্ষার তিনি আহবান জানান। তিনি বলেন, বন্যপ্রাণি বাচঁলে পরিবেশও রক্ষা পাবে। বিশ্ব বন্যপ্রাণি দিবস-২০১৯ উপলক্ষে গতকাল বন বিভাগের উদ্যোগে আগারগাঁও বন ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এক সময় প্রচুর বন্যপ্রাণি ছিল। আমাদের অজ্ঞতা ও অবহেলার কারণে গত কয়েক দশকের ব্যবধানে আমাদের দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে অনেক প্রানি। এর মধ্যে রয়েছে একশিঙা গন্ডার, বারশিঙা, প্যারাহরিণ, রাজশকুন, বাদিহাঁস, গোলাপীশির হাঁস, ময়ূর, মিঠাপানির কুমির ইত্যাদি। তিনি বলেন, বিশ^ বন্যপ্রাণি দিবসের মূল উদ্দেশ্য বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিকরা। এই দিনটি বন্যপ্রাণি সংক্রান্ত অপরাধ দমনের জন্য আমাদের সকলকে অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং নগর বিধিমালা ও আইনকানুন সম্পর্কে জাতিসংঘের সদস্যভূক্ত দেশ, সহযোগী সংগঠন, পরিবেশবাদী সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গকে উৎসাহ যোগাবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বনবিভাগ সুন্দরবন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে ৩টি এবং পদ্মা নদীর নগরবাড়ী আরিচা এলাকায় ৩টিসহ মোট ৬টি ডলফিন প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে। এছাড়া কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়া দ্বীপে সামুদ্রিক কাছিম ও পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণে বনবিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। পরিযায়ী পাখির সংরক্ষণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ইস্ট এশিয়া অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাই এশিয়ান প্লাইওয়ে নেটওয়ার্ক পার্টনারশীপের সম্মতিক্রমে বাংলাদেশে ২০১১ সালে টাঙ্গুয়ার হাওড়, হাকালুকি হাওড়, হাইল হাওড়, নিঝুমদ্বীপ ও সোনাদিয়া দ্বীপকে ফ্লাইওয়ে সাইট ঘোষণা করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপণাকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করে ৪১ টি এলাকাকে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৭টি জাতীয় উদ্যান, ২০টি অভয়ারণ্য, ০১টি প্রটেকটেট এরিয়া ঘোষণা করা হয়। ইকোপার্ক, ০২টি বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা ও ০১টি মেরিন প্রটেক্টেড এলাকা।
প্রধান বন সংরক্ষক শফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ