পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের পূর্ব-দক্ষিণ জনপদের অন্যতম পুণ্যভূমি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মৌকারা দরবার শরীফে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে দু’দিন ব্যাপী ইসালে সওয়াব মাহফিলের শেষদিন শনিবার রাতে দরবারের পীর আমীরুস সালেকীন আলহাজ্ব মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নেছারউদ্দীন ওয়ালীউল্লাহীর সভাপতিত্বে আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সভাপতি, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীনের বক্তব্য মাহফিলে উপস্থিত লাখো ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে চেতনা জাগিয়ে তুলেছে।
মৌকারা দরবার শরীফের প্রখ্যাত সূফী ও মুহাদ্দিস আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ মুহাম্মদ আলীউল্ল্যাহ (রহ.)-এর ত্রয়োদশ ইন্তেকাল বার্ষিকী উপলক্ষে গত শুক্রবার শুরু দুই দিনব্যাপী ৭৩তম ইসালে সওয়াব মাহফিলের আখেরি মুনাজাত গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠিত হয়। লাখো মুসল্লির কান্না আর আমিন আমিন ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে মৌকারাসহ আশপাশের এলাকা।
দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মাহফিলে আগত ভক্ত, আশেকান, মুরিদানরা শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় ধর্মীয় আলোচনা পর্বে দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক জনাব এ এম এম বাহাউদ্দীনের বক্তব্য গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনেন। বক্তব্যে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের অবস্থান, শক্তি সম্পর্কে যেসব কথা বলেছেন তা অনেকের অজানা ছিল। ইনকিলাব সম্পাদকের মুখ থেকে বেরিয়ে আসা এসব দুর্লভ তথ্য মাহফিলে উপস্থিত আমজনতার মাঝে চেতনা ও নাস্তিকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার সাহস যুগিয়েছে। ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, দেশের ত্বরিকতপন্থী ইসলামী দল ও দরবারগুলো মতভেদ ভুলে ঐক্য গড়ে তুলতে পারলে এদেশে ঈমান আকিদা ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন একটি সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। এসময় তিনি ত্বরিকতপন্থী দল ও দরবারগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
এদিকে অতিথিদের বক্তব্যে প্রিয় মুরশিদের স্মৃতি আর বিরহ-ব্যথায় অশ্রুসিক্ত করে ভক্তবৃন্দেকে। কান্নাজড়িত লাখো কন্ঠে বার বার উচ্চারিত হয় প্রিয় মণীষীর দরজাবুলন্দির জন্য আন্তরিক প্রার্থনা আর তাঁর শিক্ষা অনুসরণের প্রত্যয়দীপ্ত স্লোগান। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত মাওলানা শাহ্ মুহাম্মদ আলীউল্ল্যাহ (র.)-এর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতি বছরের মতো সকাল থেকেই দেশ-বিদেশের মুরিদীন-মুহিব্বীন জড়ো হতে থাকেন। ধীরে ধীরে মৌকারা দরবার শরীফের রাস্তা-ঘাট, মাজারসহ আশপাশের এলাকাও লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। বিশাল এ মাহফিলে মুরিদীন-মুহিব্বীনের উদ্দেশে তা’লীম-তরবিয়াত ও হৃদয়গ্রাহী বয়ান পেশ করেন মৌকরা দরবার শরিফের পীর সাহেব, দারুসন্নাত ওয়ালীয়া কমপ্লেক্স-এর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জমিয়াতুস সালেকিনের আমির হযরত মাওলানা শাহ্ মুহাম্মদ আলীউল্ল্যাহ (র.)-এর সুযোগ্য উত্তরসূরী আলহাজ¦ হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নেছারউদ্দীন ওয়ালিউল্লাহী।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি নামায কায়েম, উত্তম চরিত্র শিক্ষাদান ও দ্বীনের সঠিক পথ-পদ্ধতি অনুসরণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ অঙ্গনে নামায প্রতিষ্ঠা করবেন। উত্তম চরিত্র শিক্ষা দিবেন। নিজে নামায আদায়ের পাশাপাশি অন্যদের নামাযের প্রতি যত্মবান করতে সচেষ্ট হবেন। তাহলেই ইকামতে সালাতের হক আদায় হবে। হযরত মাওলানা শাহ্ মুহাম্মদ আলীউল্ল্যাহ (র.) আমাদের নিকট ইলমে কিরাতের আমানত রেখে গেছেন। তিনি এ আমানতের প্রতি খেয়াল রাখার আহবান জানিয়েছেন। যারা খানকা পরিচালনা করেন জেহরী যিকরের পাশাপাশি খফী যিকর করবেন। কেননা খফী যিকরের ক্ষেত্রে রিয়া থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। তিনি বলেন, বর্তমানে অনেক কুসংস্কার পরিলক্ষিত হয়। এসব থেকে বেঁচে থাকবেন। জিন বশ করার চেষ্টা করবেন না। যিকর মহাফিলে, কিরাত ও হাদীসের দরসে মুমিন জিন শরীক হতে পারে, কিন্তু তাদের বশ করবেন না। এসব আমাদের সিলসিলায় নেই। আমাদের কোনো বুযুর্গ কোনো বুযুর্গের মাজার সেজদা করেননি। এসব থেকে বিরত থাকবেন। কোনো বিষয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। সিলসিলার বুযুর্গানে কিরাম হক পন্থায় তাবিয দিতেন। যারা তাবিয দেন সতর্ক থাকবেন। কোনো কুফরিমূলক তাবিয দিবেন না। এতে হয়তো রোযগার করতে পারবেন কিন্তু সিলসিলার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামায প্রশান্ত মনে আদায় করবেন। দৈনিক কমপক্ষে দুইশত বার দরূদ শরীফ এবং একশত বার ইস্তেগফার শরীফ পড়বেন। বড়দের সম্মান করবেন এবং ছোটদের দয়া করবেন। অন্যের ভালো দেখলে মন খুশি রাখবেন। হিংসা-বিদ্বেষের পরিবেশ থেকে দূরে থাকবেন। এতীম-অনাথ, অসহায়, পঙ্গু, নির্যাতিত মানুষের খিদমত করবেন। তিনি হাদীসে নববীরে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, দুটি বিষয় মানুষের হৃদয়কে নরম করে। এ দুটি হলো মিসকিনকে খাদ্য খাওয়ানে ও এতীমের মাথায় হাত বুলানো।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ফেৎনার জামানা। এ জামানায় ফেৎনাকে অন্তরে লালন করা যাবে না। যুগে যুগে মুসলমানদের ঈমান হরণের জন্য একদল লোক এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে কাদিয়ানি সম্প্রদায় এর বর্তমান এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম স্বীকৃতি দিতে হবে এবং বাংলাদেশে নাস্তিক-মুরতাদদের চলমান সকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। এটি এখন সময়ের দাবি।
মাহফিলে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জমিয়াতুস সালেকিন-এর উপদেষ্টা এবং দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল শাব্বির আহমদ মোমতাজী, ইসলামি আরবি বিশ্বদ্যিালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আলহাজ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সাইয়েদ আহসান উল্লাহ প্রমুখ।
মাহফিলের শেষ দিন শনিবার রাত সাড়ে ১২টার পর থেকে মাহফিলস্থলে বাড়তে থাকে মুসল্লিদের সংখ্যা। প্রায় সাড়ে ৪ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসতে থাকে দলবেঁধে মুসল্লিরা। ফজরের নামাজে অংশ নিতেও বাড়ি ঘর থেকে আসতে থাকেন অনেক মুসল্লী। গতকাল রোববার ফজর নামাজ শেষে তালিম ও জিকিরের পর অনুষ্ঠিত হয় আখেরী মুনাজাত। মৌকারা দরবার শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ শাহ মুহাম্মদ নেছারউদ্দিন ওয়ালীউল্লাহী আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। মুনাজাতে আল্লাহর দরবারে সকল মুসলমান নর-নারীর গুনাহ মাফ ও কবরবাসীদের আজাব মাফ চেয়ে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রাসূল (সা.) এর দিদার নছীব লাভের ফরিয়াদ জানানো হয়। তাছাড়া আমলী জিন্দেগী গড়ে তোলার জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করা হয়। এছাড়াও সকল অস্থিরতা থেকে দেশ শান্তির পথে ফিরে আসার ফরিয়াদও জানানো হয়। মুনাজাতে ইহুদী কাফের মুশরিক নাস্তিক মুরতাদের হাত থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের হেফাজত কামনা করা হয়। মুনাজাতে ইসলামী সমাজ ও মূল্যবোধ বিনষ্টকারী, গীবতকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের হেদায়েত নসীব করার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়। সকল মুসলিম পরিবারগুলোতে যাতে শান্তি, মান্যতা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় থাকে তার জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করা হয়। মৌকারা পীর ছাহেব মুনাজাতে ইসলামের নামে বিভ্রান্তকারীদের নস্যাৎ এবং এদেশে ইসলামী আক্বিদার প্রচার-প্রসার ও চর্চার ধারা অব্যাহত থাকার প্রার্থনা করেন।
বিশাল জায়গা জুড়ে স্থাপিত মাহফিলের প্যান্ডেল ছাড়িয়ে মুসল্লিরা মুসজিদের ভেতর, মাদরসার বারান্দায়, রাস্তায়, আশপাশের খালি মাঠে, যানবাহন রাখার স্থানে দাঁড়িয়ে, বসে আর মাইকের আওয়াজ যতদুর পৌঁছেছে ততদুর পর্যন্ত বাড়িঘরের ভেতর নারী ও শিশুরা আখেরী মুনাজাতে অংশ নেন। কান্নার রোল আর আমিন আমিন ধ্বনি আর কলেমা তাইয়্যেবা উচ্চারণের মধ্যদিয়ে শেষ হয় মৌকারা দরবার শরীফের দুইদিনব্যাপী মাহফিলের আখেরী মুনাজাত।
এর আগে মৌকারা দারুসসুন্নাহ নেছারিয়া কামিল মাদরাসার বিভাগীয় প্রধান (আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ) আলহাজ মাওলানা শাহ মুহা. মাসউদ-এর পরিচালনায় এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুস সালেকিন-এর অতি. সেক্রেটারি আলহাজ মাওলানা আহসানুল করীম আল-আজহারীর সঞ্চালনায় মাহফিলে সম্মানিত অতিথি হিসেবে দ্বিতীয় দিন আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন: ঢাকার বাড্ডা কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা বদিউল আলম সরকার, বাংলাদেশ জমিয়াতুস সালেকিন লাকসাম উপজেলা শাখা সেক্রেটারী কুমিল্লার আলহাজ¦ মাওলানা মুহাম্মদ জাকির হোসাইন ছিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনজুমানে খাদিমুল ইসলামের নায়েবে আমির ফান্দাউক দরবার শরিফের পীর সাহেবের পুত্র আলহাজ¦ মাওলানা মির্জা সায়েমুর রহমান বেগ, কুমিল্লার দেবিদ্বারের ফতেহাবাদ দরবার শরিফের পীর আলহাজ¦ মাওলানা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ফতেহাবাদী, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের নুর মোহাম্মদ দরবার শরিফের পীর এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুস সালেহিনের আমির আলহাজ মাওলানা আবু তাহের মুহাম্মদ ছালেহউদ্দিন, ব্রাক্ষনবাড়িয়ার নাসিরাবাদ ফান্দাউক দরবার শরিফের পীর সাহেব এবং বাংলাদেশ আনজুমানে খাদিমুল ইসলামের আমির আলহাজ মাওলানা সৈয়দ ছালেহ আহমদ মামুন আল হুসাইনী, মহাখালী মসজিদ গাউসুল আজম কমপ্লেক্সের ইমাম আলহাজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ জমিয়তুস সালেকিনের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কুমিল্লার ইসলামীয়া আলীয় কামিল মাদরাসার মহাদ্দিস আলহাজ মাওলানা মুহাম্মদ ইমাম উদ্দিন, কুমিল্লা ইসলামিয়া আলীয়া কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস আলহাজ মাওলানা মুহাম্মদ মোশতাক আহমদ. মৌকারা দারুসসুন্নাত নেছারীয়া কামিল মাদরাসার প্রভাষক মাওলানা মুহাম্মদ একরামুল হক, এমফিল গবেষক কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রমুখ।
মাহফিলে সম্মানিত অতিথি হিসেবে প্রথম দিন আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন, মৌকারা দারুসসুন্নাত নেছারিয়া কামিল মাদরাসার প্রভাষক আলহাজ মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস ইসলাহী, যুব সালেকিনের সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আবুল হাশেম, বাংলাদেশ তানিমে হেজবুল্লার মহাসচিব মাওলানা মোতালেব হোসাইন ছালেহী, ঢাকার মদীনাতুল উলুম মডেল ইন্সিটিটিউট বালক কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস আলহাজ মাওলানা মাহুম্মদ মোখলেছুর রহমান, ঢাকা মদীনাতুল উলুম মডেল ইন্সিটিটিউট বালক কামিল মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আলহাজ মাওলানা মুহাম্মদ মুস্তফা কামাল, চাঁদপুরের কচুয়া ইকরা ইসলামিয়া অ্যাকাডেমির পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ আবু হানিফ আনোয়ারী, বাংলাদেশ জমিয়াতুস সালেকিনের নায়েবে আমির এবং চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ মাজিদীয়া কামিল মাদাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আলহাজ মাওলানা মুফতি এইচএম আনোয়ার মোল্লা, বাংলাদেশ জমিয়াতুস সালেকিন সেক্রেটারি জেনারেল এবং কুমিল্লার ধামতী ইসলামীয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আলহাজ¦ মাওলানা শাহ মুহাম্মদ মহিউদ্দিন প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র সালেকিন, যুব সালেকিন ও জমিয়াতুস সালেকিনের সকলস্তরের নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।