Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে দন্ডপ্রাপ্ত বন্দীর আত্মহত্যা

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ চুরি মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বন্দীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার কারাগারের ডিভিশন ভবনের রান্না ঘরের স্টোর রুম থেকে কয়েদি কবির সিকদারের (৪০) গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। কারা কর্তৃপক্ষের দাবি পারিবারিক কারণে ওই কয়েদি আত্মহত্যা করেছে। তবে কারাগারের একাধিক সূত্রের মতে কতিপয় কয়েদির নির্যাতনে ওই কয়েদি কবিরের মৃত্যু হয়েছে। এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক ও জেলার মো. ইউনুস জামান।
দন্ডপ্রাপ্ত কবির সিকদার (কয়েদী নং-৫৩২৯/এ) ভান্ডারিয়া উপজেলার জামিরতলা গ্রামের দলিল উদ্দিন সিকদারের ছেলে। ভোলার মনপুরা থানায় দন্ডবিধি ৩২৮/৩৮০ ধারার চুরির মামলায় ৫বছর করে মোট দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিল। গত বছর ২ আগস্ট থেকে চিকিৎসাজনিত কারনে তাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের স্থানন্তর করা হয়।

লাশ উদ্ধারকারী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. ইউনুস জামান জানান, বুকে ব্যথা জনিত কারনে তাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে চিকিৎসার জন্য প্রেরন করা হয়। এরপর কিছুদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। কারাগারে ফিরে আসার পরে কবির ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ করতো। জেলার ইউনুস জামান বলেন, শুক্রবার দুপুরে কয়েদি কবির সিকদারকে কারা অভ্যন্তরে তার ওয়ার্ড এলাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পরে কারাগারের ডিভিশন ভবনের রান্না ঘরের স্টোর রুমের আড়ার সাথে কবিরকে গলায় গামছা পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্রæত উদ্ধার করে তাকে কারাগারের হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় ওই কয়েদি জীবিত ছিলো বলে বলা হলেও কারা হাসপাতাল থেকে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানের পৌছার পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কবিরকে মৃত ঘোষণা করেন। ইউনুস জামান বলেন, গত ৭/৮ বছর ধরে ডিভিশনাল ভবনে কোন কয়েদি নেই। তাই ওই ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থাতেই রয়েছে। তাছাড়া ভবনটির সামনে এবং ভেতরের দরজায় তালা দেয়া রয়েছে। যাতে কেউ ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। যতটুকু ধারনা করা হচ্ছে ভবনের সীমানা প্রাচীরের পাশে থাকা কাঠাল গাছ দিয়ে ওই কয়েদি ভেতরে প্রবেশ করে। আর ভেতরে থাকা রান্না ঘরের বেড়া ভাঙা থাকায় সেখান থেকেই রান্না ঘরের স্টোর রুমে প্রবেশ করে গলায় ফাঁস দিতে পারে। গতকাল তার লাশ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তবে এটি কোন নির্যাতনের ঘটনা নয় বলে গতকাল কারা কর্তৃপক্ষ ইনকিলাবকে জানান। কর্তৃপক্ষের মতে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে এখন সাড়ে ১২শ কয়েদি ও বিচারাধীন বন্দী রয়েছে। নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটলে অবশ্যই সেটা কারো না কারো নজরে আসত। কবিরকে নির্যাতনের কোন অভিযোগ বা তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি বলেও কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ