Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ একদলীয় রাষ্ট্র নয়

আল-জাজিরাকে গওহর রিজভী

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বিরোধী দল গত সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না তা নিয়ে দোলাচলে ছিল। তারা কোনো ইশতেহারও দেয়নি। নির্বাচনে তাদের বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় বসার পেছনে একটি ভালো যুক্তি দেখান। আল-জাজিরার ‘হেড টু হেড’ শো’তে গত সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।
আল-জাজিরা অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে গওহর রিজভী ছাড়াও তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল অংশ নেন। তারা হলেন- যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম, এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ-এশিয়া বিশ্লেষক আব্বাস ফায়েজ ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুইডিশ সাংবাদিক তাসনিম খলিল। অক্সফোর্ড ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত ওই ‘হেড টু হেড’ শো’তে অর্ধ শতাধিক দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
সা¤প্রতিক সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করেন আল-জাজিরার সাংবাদিক ও উপস্থাপক মেহেদী হাসান। ওই প্রশ্নোত্তর পর্বের চুম্বক অংশ সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
মেহেদী হাসান: গত ডিসেম্বরের নির্বাচনে আপনার দল নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। এতে কি মনে হয় যে বাংলাদেশ ক্রমশ একটি একদলীয় দেশে পরিণত হচ্ছে?
রিজভী: এর আগে কিছু মানুষ এটা বলেছে। আপনিও এটা বলছেন তাতে আমি বিস্মিত। একটি দল তিনবার নির্বাচিত হয়েছে, শুধু এই কারণে একটি দেশ একদলীয় হয় না। মেহেদী হাসান: ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮টি আসনে কিভাবে বিরোধীরা জিতলো? রিজভী: এই প্রশ্নটি আমি আপনাকে ভিন্নভাবে করতে পারি। আমাকে একটি ভালো যুক্তি দেখান, কেন বিরোধীদলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসানো হবে? তাদের কোনো ইশতেহার ছিল না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, এ নিয়ে তারা দোলাচলে ছিল।
মেহেদী হাসান: তার মানে আপনি ৯৬ শতাংশ আসনে জয় পেয়ে সন্তুষ্ট। বাশার আল আসাদ ও কিম জং উন যে হারে ভোট পেয়ে নির্বাচনে জিতেছেন, এখন শেখ হাসিনাও সে রকম ভোট পেয়ে জিতছেন। একটি গণতান্ত্রিক দেশে আপনি ৯৬% ভোট পেয়ে সন্তুষ্ট?
রিজভী: না, আমি মনে করি এই তুলনা পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক। এখানে মোট ৩৯টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছে। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বিপুল সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন, যারা স্বয়ং নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। যে সরকার খুবই ভালো কাজ করেছে, তাকে কে ভোট দেবে না?
মেহেদী: অনেক ভালো সরকার আছে যারা ৫০, ৬০, ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পেয়েছে। ঠিক আছে, আপনি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, নির্বাচনে এমন কিছু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে, যা নির্বাচনী প্রচারণাকে কলঙ্কিত করেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ৫০টি আসনে তদন্ত করে ৪৭টি আসনে গুরুতর অনিয়ম দেখতে পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভুয়া ভোট, ভোটগ্রহণের আগেই ব্যালটবাক্স ভর্তি, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয়ার ঘটনা। চট্টগ্রামে ভোটগ্রহণের আগেই ব্যালটবাক্স ভর্তি করার ভিডিও ফুটেজ বিবিসি’র কাছে রয়েছে।
রিজভী: নির্বাচন কমিশন ১৫ বা ১৯টি ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম দেখতে পেয়েছে। নির্বাচনে মোট ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১৫টি বা ১৯টি কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। আমি সঠিক সংখ্যাটি মনে করতে পারছি না।
মেহেদী: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, নির্বাচনের আগের মাসগুলোতে বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, হত্যা ও এমনকি গুমও করা হয়েছে।
রিজভী: এরা সেসব মানুষ যারা ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত অগ্নিসংযোগ করেছে ও মানুষ হত্যা করেছে। এরপরে তারা গা ঢাকা দেয়। নির্বাচনের সময় তারা আবারো সামনে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তাই যখনই তারা আবারো সামনে এসেছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মেহেদী: মিন্টু কুমার দাস নামের ঢাকার এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাস্তা অবরোধের অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু সমস্যা হলো, তিনি ২০০৭ সালে মারা গেছেন। এটা কি বিব্রতকর না?
রিজভী: এটা বিব্রতকর। যখন এ ধরনের অভিযোগ তোলা হয় তা আসলেই বিব্রতকর। কিন্তু পুলিশি তদন্তে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ ধরনের ত্রুটি প্রায়ই হয়ে থাকে।
মেহেদী: গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের অনেক অভিযোগ রয়েছে। এই চ্যানেলেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে সরকারের সমালোচনা করার কারণে ফটোসাংবাদিক শহিদুল আলমকে পুলিশ তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ‘মানসিক অসুস্থ’ আখ্যায়িত করেছেন। আপনি কি মনে করেন সে মানসিকভাবে অসুস্থ? নাকি সে নিজের দায়িত্ব পালনকারী একজন সাংবাদিক।
রিজভী: বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সঙ্গে পরিচিত সবাই জানে যে, সেটা স্বাধীন ও শক্তিশালী। শহিদুলকে আল-জাজিরায় বক্তব্য দেয়ার কারণে গ্রেফতার করা হয়নি। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ভুল তথ্য ছড়ানোর দায়ে, যা সহিংসতা উস্কে দিচ্ছিল। শহিদ আমার খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
মেহেদী: শহিদুল সাংবাদিকদের বলেছে, পুলিশ তাকে এত খারাপভাবে মেরেছে যে, তার জামা ধুয়ে দিতে হয়েছে। কেননা সেটি রক্তে পরিপূর্ণ ছিল। তাকে ১০৭ দিন কারাবন্দি রাখা হয়, নির্যাতন করা হয়। এভাবেই কি আপনি বন্ধুর সঙ্গে আচরণ করেন?
রিজভী: আমি তার সঙ্গে করা আচরণের বিষয়ে বলিনি। শহিদ আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাকে গ্রেফতার করার পর আমি নিজে থেকে তার উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়া নিশ্চিত করি। পরিবারকে তার জন্য খাবার নিয়ে যেতে দেয়া হয়।
মেহেদী: তাকে কেন চিকিৎসা দেয়ার দরকার হয়েছিল?
রিজভী: আপনি যে মারধরের কথা বলছেন, তার কারণে না।
মেহেদী: পুলিশ তাকে মারধর করেছে সেটা অস্বীকার করছেন?
রিজভী: আমি এটা অস্বীকার করিনি। আমি অস্বীকার করতে পারি না এই কারণে যে, আসলে কি ঘটেছে তা আমি জানি না।
মেহেদী: আপনার বন্ধু কি মানসিকভাবে অসুস্থ?
রিজভী: না
মেহেদী: তাহলে প্রধানমন্ত্রী কেন তাকে মানসিক অসুস্থ বলেছেন?
রিজভী: এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তার মনে কি আছে তা আমি জানি না। কিন্তু কেউ যদি ভুয়া তথ্য ছড়ায়, যাতে মানুষের জীবন বিপন্ন হয়, যা সহিংসতা উস্কে দেয়...
মেহেদী: কি ভুয়া তথ্য ছড়ানোর কথা বলছেন আপনি?
রিজভী: কয়েকজনকে মেরে ফেলা হয়েছে, মৃতদেহ ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছে, মেয়েদের ধর্ষণ করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৩ মার্চ, ২০১৯, ১২:৩১ এএম says : 0
    আজ ১০ বছর ধরে বিজভী সাহেব প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালান করে আসছেন। তার এই নিয়োগ প্রাপ্তি কিভাবে সেই সম্পর্কেও আমার জানা আছে তাই আমি কখনও উনার ভুল নিয়ে কথা বলার সাহস রাখতাম না যদি আমি নিজেও ৩০ বছরের অধিক বিদেশে থাকি এবং এখানে বাঙালীদের হয়ে এই দেশের সাথে কাজ করে থাকি। এমনকি কানাডা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালান কালে আমি নিজ প্রচেষ্টায় জাতীর জনকের হত্যাকারীদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্যে অক্লান্ত প্রচেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। এমনকি একবার আমি একটা আলোচনার আয়োজন করেছিলাম হাইকমিশনার ছিলেন তখন আমিনুল ইসলাম আমি তাঁকে সেই বৈঠকে যেতে অনুরোধ করি কিন্তু তিনি আমাকে মূল্যায়ন না করে পাঠালেন একজন কমার্স সেক্রেটারী যিনি কানাডার একজন মহা পরিচালকের সাথে বৈঠকের অনপুযুক্ত। এর কারন তিনি (হাইকমিশনার) আমাকে পছন্দ করেন না, যাই হউক কমার্স অফিসার এখানকার কর্মকর্তাকে আমার সামনেই তেমন ভাবে সন্তুষ্ট করতে পারনি তাই আলোচনা বিফলে যায়। এরপর আমি জানতে পারি এডভোকেট রহমত উল্লাহ আইন বিষয়ে পার্লামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে অটোয়া আসছেন। তখন আমি আবার হাইকমিশনারকে জিজ্ঞাসা করি এবার কি আপনি এডভোকের রহমত উল্লহাকে নিয়ে জাতীর জনকের হত্যাকারিদেরকে দেশে পাঠানোর জন্যে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে আমি যদি বৈঠকের আয়োজন করি আপনি যাবেন?? তিনি রাজীহলে আমি ব্যবস্থা নেই এবং ওনারা আমার সাথে আমার কথা মতো অনির্ধারিত ভাবে পার্লামেন্ট চলাকালিন অবসরের সময়ে সাংসদদের ক্যাফেটেরিয়াতে বৈঠকে বসেন এবং সেখান কানাডার জাস্টিস মিনিষ্ট্রির পারলিয়ামেন্ট কমিটির সচিবের সাথে প্রথম বৈঠক শুরু হয়। তিনি আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়ে মন্ত্রীদের বৈঠকে বসান ঠিক তখনই হাইকমিশনার আমাকে ঈশারা দিয়ে বাহিরে নিয়ে আমাকে বলেন এটা রাষ্ট্রিয় বিষয় আমার আর দরকার নেই। কিন্তু এই বিষয়টাই কানাডার সরকারের কাছে ব্যাতিক্রম মনে হওয়াতেই আর চুক্তি হয়নি বরং আসামী দুজনকে আইনের বাইরে খালাশ দিতে হয়েছিল এই হাইকমিশনারের ইচ্ছাকৃত ভুলের জন্যে। আমার মনে হয় ঐ দুই আসামীর সাথে আমাদের আওয়ামী লীগের সেই সময়ের সভাপতি ও হাইকমিশনারের আঁতাত ছিল কারন ওরা (আসামীরা) আমাকেও প্রলোভন দিয়েছিল প্রমাণ এখনও আমার হাতে রয়েছে। যাই হউক এরপর আর জাতীর জনকের বিষয়ে কানাডা কোন পদক্ষেপ নেয় নি এবং নিবে কিনা এতে আমার প্রচুর সন্দেহ রয়েছে। তবে এরপর আমি নিজে নেত্রী হাসিনার সাথে ২০০২ সালে দেখা করে নেত্রী হাসিনার হয়ে লবিং করার অনুমতি নেই তবে যদিও আমি তখনও আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তারপরও আমি নেত্রী কাছ থেকে দলের প্রভাব বিহীন দায়িত্ব পালনের ওয়াদা নেই ঐ বৈঠকের ব্যাবস্থা করেছিলেন আমাদের বর্তমান তথ্যমন্ত্রী এবং তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন এবং নেত্রীর নির্দেশে আমাকে কাগজ পত্র বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। আমি কানাডাকে বিএনপির সেসময়ে আওয়ামী লীগের উপর অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলাম বলেই কানাডার মাধ্যমে হোইয়াট হাউজকে সকল বিষয় অবগত করতে সক্ষম হয়েছিলাম যার জন্যে কানাডা নেত্রী হাসিনার পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা লাগিয়ে ২০০৭ সালে কানাডা নিয়ে এসেছিল। এবং এখন নেত্রী হাসিনা সেই সুবাদেই (কানাডা এবং ভারতের সহযোগিতায়) আন্তর্জাতিকভাবে একজন শক্তিশালী নেত্রী হিসাবে বিশ্বে পরিচিত। কিন্তু বিনিময়ে আমি কি পেয়েছি?? পেয়েছি বাংলাদেশের অটোয়া হাইকমিশনের বিরোধীতা যেকারনে আমি এখানে সামাজিক ভাবে ভীষন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এবং এই কানাডায় বিএনপি জামাতের প্রভাব বিস্তার হয়েছে। এখন আর মিশন এটাকে সামাল দিতে পারছেনা তাঁরা তাদের মত করে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে চেষ্টা করেছে ঠিকই আমি জানি কিন্তু ভাল লোক পাচ্ছেনা। সেই পুরানো লোক যাদেরকে তাঁরা আমার বিপক্ষে দাঁড় করিয়েছিল তাদেরকে দিয়েই হাল ধরার চেষ্টা করছে এমনকি মিশনের অনেকে যারা চাকুরি ছেড়ে এখানে নাগরিক হয়েছেন তাদেরকে দিয়েও আওয়ামী লীগকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হচ্ছে। আমি এদের থেকে অনেক দূরে থাকি তাই রজভী সাহেবকে নিয়ে কোন কথাই বলিনা। আজ না বলে পারছি না কারন এখানে সাংবাদিক মেহেদী কয়েকবার রেজভী সাহেবের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন কেন নেত্রী হাসিনা ফটো সাংবাদিক শহীদ মিয়াকে মানসিক অসুস্থ বলেছেন?? প্রথমে রেজভী সাহেব বললেন তাঁর বন্ধু মানসিক অসুস্থ নন মানে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলেছেন এটাই বুঝায় না কি?? এরপর রেজভী সাহেব বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তাঁর মনে কি আছে তা আমি জানি না।‘ এখানেও কি তিনি প্রধানমন্ত্রীকে খাটো করলেন নয় কি?? আমি তাঁর এই জবাবে অবাক হয়ে যাই কারন তিনি যখন এমন একটা বিষয়ে জবাব দেবার জন্যে বসেছেন সেই বিষয়টার উপর প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। রেজভী সাহেবের উচিৎ ছিল প্রধানমন্ত্রীর সকল কথা জেনে নেয়া প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে খোলাখুলি আলোচনা করে জবাবে বসা। এখানে তিনি কিভাবে বললেন আমার কিছু জানা নেই??? এরপর তিনি আবার কারণটা ঠিকই বললেন মানে তিনি একজন বিজ্ঞ লোক তাই বিজ্ঞের মত কথা বললেন এতে কি প্রধানমন্ত্রীর মান ক্ষুন্ন হয়নি??? আমি মনে করি ওনার বলা উচিৎ ছিল একবারেই এই যে, প্রধানমন্ত্রী শহীদকে মানুষিক অসুস্থ বলেছেন কারন তিনি (শহীদ) একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন লোক তাঁর পক্ষে দেশের সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্যে মিথ্যা কথা বলে আন্তর্জাতিক সমাজকে বিভ্রান্ত করা উচিৎ নয় কিন্তু শহীদ মিয়া সেটাই করেছে তাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একজন লোক মানসিক অসুস্থ না হলে এমনটা করতে পারন না... এটাই কি সঠিক জবাব ছিল না??? শুধু তাই নয় বিজভী সাহেব আবার এই মানসিক ভারসাম্য লোকটাকে তাঁর ঘনিষ্ট বন্ধু বলে তাঁর নিজেকে ছোট করেছে কিনা এটাও একটা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে না কি??? আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সত্য বলা, সত্যকে বুঝা এবং সত্য পথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গওহর রিজভী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ