পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেডে সালফিউরিক এসিডের উৎপাদন বাড়ছে। কোম্পানিটির সালফিউরিক এসিড ইউনিট-২ এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মঙ্গলখালী এলাকায় ওয়াটা কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিতে এ ইউনিটের উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
জানা যায়, নতুন ইউনিটের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে কোম্পানিটি বছরে ১৮ হাজার মেট্রিক টন সালফিউরিক এসিড উৎপাদন করে থাকে। এ হিসেবে কোম্পানির সালফিউরিক এসিড উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়ছে ১৬৭ শতাংশ। বিদ্যমান ও নতুন ইউনিটে মোট ৪৮ হাজার মেট্রিক টন এসিড উৎপাদিত হবে।
ওয়াটা কেমিক্যালসের কারখানার প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিটি স্তরকেই বর্তমান সরকার উন্নয়নের মহাসড়কে নিতে সক্ষম হয়েছে। যা ক্রমেই বৃহৎ পরিসরে ছড়িয়ে পড়ছে। সরকার বিভিন্ন খাতকে এগিয়ে নিতে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে শিল্প খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্প খাতে ব্যাপক উন্নতির জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন উল্লেখ করে পাটমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শিল্প বান্ধব সরকার। শিল্পের উন্নয়নে বর্তমান সরকার যথাসম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছে। শিল্পখাত উন্নয়নের অন্যতম চালিকা শক্তি বিদ্যুতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’
বাংলাদেশ এরইমধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে আর দেশকে উন্নত দেশের সারিতে নিয়ে যেতে হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানোর কোনও বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, দউন্নত দেশে যেতে হলে আমাদের শিল্পায়ন করতে হবে। শিল্পায়ন হচ্ছে একদিকে কর্মসংস্থান, অন্যদিকে সমৃদ্ধি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেন, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ, ওয়াটা কেমিক্যালস কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক উল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম, পরিচালক এ এইচ এম আব্দুল্লাহ, পরিচালক মাহমুদুল হাসান, পরিচালক সুব্রত পাল, জিয়াউল হক এবং কোম্পানির প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা আলী আহসানসহ অন্যরা।
কোম্পানির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, নতুন প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রায় ২০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০০ জন প্রকৌশলী এবং বাকিরা কর্মচারী। উৎপন্ন সালফিউরিক এসিড বিদ্যুৎ উন্নয়র বোর্ড, ওয়াসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হবে। কারিগরি প্রশিক্ষণ নিতে বুয়েটের ছাত্ররা এই কোম্পানির সাহায্য নেয় বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।