Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিত্যপণ্যের দাম চড়া

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মাছ-গোশতসহ বাজারে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম চড়া। বেড়েছে ডিম, মুরগি, মাছ ও সবজির দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপণ্যের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।

মুরগি ও ডিম পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। শিম, টমেটো, করলাও কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেশিতে বিক্রি। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে পাঁচ টাকা বেশি দরে। স্থিতিশীল দেখা গেছে, গরু ও খাসির গোশতের দামে।
ছুটির দিনে সাধারণত নিত্যপণ্যের বাজারে ভিড় দেখা যায়। তাদের বিবেচনায় গত সপ্তাহের চেয়ে দাম বেড়েছে প্রায় সব সবজির। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, সেগুনবাগিচা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ডিম ও মুরগির দাম বেড়েছে। গত এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা। এর প্রভাবে বেড়েছে লাল লেয়ার এবং পাকিস্তানি কক মুরগির দামেও। সেই সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। আর বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় সামনের দিনগুলোতে দাম আরও বেড়ে যেতে পারে আশঙ্কা করেছেন বিক্রেতারা।

রামপুরা ও খিলগাঁও অঞ্চলের বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে এ অঞ্চলের বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয় ১২০ টাকা ১২৫ টাকা। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে লাল লেয়ার ও পাকিস্তানি কক মুরগির। লাল লেয়ার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ২০৫ টাকা কেজি, যা গত জানুয়ারিতে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। আর জানুয়ারিতে ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকিস্তানি মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। মুরগির দামের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী মো. জামাল বলেন, জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে সব ধরনের মুরগির দাম বেশ কম ছিল। কিন্তু জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে এসে হঠাৎ করেই মুরগির দাম বাড়তে শুরু করে। এক মাসের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকার উপরে। বাজারে মুরগির যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, সে হারে ফার্ম থেকে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণেই মুরগির দাম বেড়েছে।

শুধু রামপুরা ও খিলগাঁও অঞ্চল নয়, রাজধানীর অধিকাংশ অঞ্চলের বাজারে মাসের ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়েছে।
এদিকে মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ২০ টাকা। আর হালিতে বেড়েছে ৮ টাকা। জানুয়ারি মাসে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম এখন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়। আর মুদি দোকানে প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে ১০ টাকায়, যা জানুয়ারিতে ছিল ৭ থেকে ৮ টাকা।

এদিকে মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে।
মাছ বাজারে সব ধরনের মাছের দাম এখন বেশ চড়া। রুই মাছ বাজারে ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি, পাবদা মাছ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, শিং ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি।
রাজধানীর কয়েকটি সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা, শিম ১০ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা হয়েছে। আর করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ