Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘মুজিবনগরকে করা হচ্ছে পর্যটন নগরী’ নগরী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী ঐতিহাসিক মুজিবনগরকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রায় এক হাজার কোটি ব্যয়ে মেহেরপুর জেলার এই মুজিবনগরে একটি অত্যাধুনিক কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এর সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে মেহেরপুর জেলা সমিতি কতৃক আয়োজিত এক সম্বর্ধণা অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজš§কে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক এবং বিস্তারিত ইতিহাস জানানোর সব ব্যবস্থা মুজিবনগর কমপ্লেক্সে থাকবে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের একটি দুর্লভ প্রতিকৃতি থাকবে। তিনি বলেন, মুজিবনগর কমপ্লেক্সে থাকবে একটি দৃষ্টিনন্দন লেক। লেক-এর চারপাশে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগরের ইতিহাস লিপিবদ্ধ থাকবে। তিনি জানান, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত দর্শনার্থীরা লেকের চারপাশে হাঁটার সময় এর ইতিহাসগুলো জানতে পারবেন। এখানে একটি সিনেপ্লেক্সও নির্মাণ করা হবে, যেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্ছিচিত্রগুলো প্রদর্শণ করা হবে। লেক-এ দর্শনার্থীদের জন্য বোটিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরা যাতে কয়েকদিনের জন্য এই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক পর্যটন নগরীতে সময় কাঁটাতে পারেন, সেজন্য অবকাশ যাপনের জন্য আবাসিক হোটেলও থাকবে।

তিনি বলেন, মুজিবনগরে একটি শিশুপার্কও নির্মিত হবে। রেস্টরুম থাকবে। এজন্য আরো প্রায় ৩৭ একর জায়গা অধিগ্রহণ করবে সরকার। সবশেষে দর্শণার্থীদের জন্য একটি ‘ওথ স্পেস থাকবে। মুজিবনগর পরিদর্শণ শেষে সবাই ‘ওথ স্পেস’-এ দেশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং দেশ ও জাতীর উন্নয়নে শপথ গ্রহণ করবেন। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির জনক এবং বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর নামে এই একটি জায়গায় রয়েছে, যা তার আদর্শ ধারণ করে আজও দাঁড়িয়ে আছে স্বগর্ভে। এখন ঐতিহাসিক মুজিবনগরে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার দর্শনার্থী আসেন। নতুন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার দর্শণার্থী দেশ-বিদেশ থেকে আসবে বলে ধারণা করা হ”েছ। এছাড়া মেহেরপুরের আরেকটি ঐতিহাসিক ¯’ান হলো-আমঝুঁপির নীলকুঠি। ব্রিটিশদের এই নীলকুঠিতে বহু পর্যটক প্রতিদিন আসে। এটিরও প্রবেশপথে বঙ্গবন্ধুর একটি প্রতিকৃতি নির্মাণ করা হবে এবং নীলকুঠিকেও পর্যটকদের জন্য আরো আকর্ষনীয় করে গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্পে প্রায় এক হাজার ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুলসহ মেহেরপুর-২ আসন গাংনী থেকে নির্বাচিত মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান খোকনকেও সম্বর্ধণা জানায় ঢাকাস্থ মেহেরপুর সমিতি। অ্যাড শাহাবুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সম্বর্ধণা কমিটির আহবায়ক তৌফিকা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাতো একরামুল হক, সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এম এ খালেক প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ